শনিবার (৩০ আগস্ট) বিকেলে রাজধানীর কাকরাইলে দলটির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন তিনি।
শামীম হায়দার বলেন, ‘মশাল মিছিল যাওয়ার পথে আমাদের ওপর ঢিল ছোড়া হয়। এতে অন্তত ৩০ জন কর্মী আহত হন। যদি স্পর্শকাতর স্থানে ঢিল লাগত তবে মৃত্যুও ঘটতে পারত। যখন মিছিল আসে, তখন আমাদের অফিসে নারীসহ অনেক নেতা-কর্মী উপস্থিত ছিলেন। সেনাসদস্যরা আমাদের ভেতরে অবস্থান করতে বলেন। বাইরে থেকেই আমরা শুনতে পাই, মিছিলকারীরা সেনা ও পুলিশের ওপর হামলা চালাচ্ছে। পরে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী লাঠিচার্জ করে।’
তিনি বলেন, ‘ছয়টি জেলায় জাতীয় পার্টির কার্যালয়ে অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে। রাষ্ট্র ও সরকার যদি জনগণের নিরাপত্তা দিতে না পারে; তবে রাষ্ট্র নাই, সরকার নাই। আমরা এই ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত দাবি করছি।’
আরও পড়ুন: নুরের ওপর হামলা ষড়যন্ত্র: এ্যানি
নুর আহত হওয়ার ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করে শামীম হায়দার বলেন, ‘আমরা চাই তিনি দ্রুত আরোগ্য লাভ করুন। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে তাকে দেখতে যাব।’
জাতীয় পার্টি নির্বাচনে যেতে প্রস্তুত জানিয়ে তিনি বলেন, ‘মবতন্ত্র, গালিতন্ত্র, আগুন নিয়ে খেলা—এসব রাজনীতি গণতন্ত্রের জন্য হুমকি। এ ধরনের মব কঠোর হাতে দমন করা উচিত। তফসিল ঘোষণার তিন মাস আগে একটি দলের অফিসের সামনে অগ্নিসংযোগের চেষ্টা নির্বাচনের পরিবেশের লক্ষণ নয়। আমরা নির্বাচনে যেতে প্রস্তুত, কিন্তু মবতন্ত্র সুষ্ঠু নির্বাচনের ইঙ্গিত নয়। সরকার ভোট সঠিকভাবে করতে পারবে কি না, সে ব্যাপারে অনেকেই সন্দিহান; আমরাও একইভাবে সন্দিহান।’
জাতীয় পার্টি নিয়ে ষড়যন্ত্র হচ্ছে অভিযোগ করে শামীম হায়দার বলেন, জাতীয় পার্টিকে বাদ দেয়ার পরিকল্পনা মানে নির্বাচন বাতিলের পরিকল্পনা। যারা চায় জাতীয় পার্টি নির্বাচনে না যাক, তারা সবাই মিলে জাতীয় পার্টির সমকক্ষ হতে পারেনি।
আরও পড়ুন: নুরের ওপর হামলার পূর্ণাঙ্গ ও নিরপেক্ষ তদন্ত করা হবে: প্রেস উইং
দলের চেয়ারম্যান জি এম কাদেরের প্রতি আস্থা জানিয়ে তিনি আরও বলেন, লাঙ্গল জি এম কাদেরের ছিল, থাকবে। তিনি যা করেছেন সব গঠনতন্ত্র মেনেই করেছেন। জাতীয় পার্টি কোনো দেশের দালালি করে না, বাংলাদেশের দালালি করে।
অতিরিক্ত শক্তি প্রয়োগের নিন্দা জানিয়ে শামীম হায়দার বলেন, চেয়ারম্যান নিজের বাড়ি রক্ষা করেছেন, কাউকে মারার নির্দেশ দেননি। তবে ঘটনাস্থলে যে অতিরিক্ত বলপ্রয়োগ হয়েছে তার নিন্দা জানাই এবং তদন্ত দাবি করছি।