আল জাজিরার প্রতিবেদন মতে, ২০২২ সালের অক্টোবরে সাবেক প্রেসিডেন্ট মিশেল আউনের মেয়াদ শেষ হওয়ার থেকে রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ পদটি খালি ছিল। প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হতে পার্লামেন্টের ১২৮টি আসনের মধ্যে ৮৬ ভোটের দরকার ছিল। তবে জোসেফ ৯৯টি ভোট নিশ্চিত করেন।
এর আগে বুধবার (৮ জানুয়ারি) নতুন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রথম দফার ভোট হয়। তাতে প্রয়োজনীয় দুই তৃতীয়াংশ ভোট পেতে ব্যর্থ হন জোসেফ। প্রথম দফায় ৭১ জন সাংসদেদের সমর্থন পান তিনি।
ফলে দ্বিতীয় দফায় গড়ায় ভোট। প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার পর ৬০ বছর বয়সি জোসেফ পার্লামেন্টের উদ্দেশে বলেন, ‘আজ থেকে লেবাননের ইতিহাসে একটি নতুন অধ্যায় শুরু হচ্ছে।’
আরও পড়ুন: আসাদকে প্রতারণার ফাঁদে ফেলার অভিযোগ পুতিনের বিরুদ্ধে!
ভূমধ্যসাগর উপকূলীয় দেশটিতে প্রেসিডেন্ট মিশেল আউনের মেয়াদ ২০২২ সালের অক্টোবর শেষ হয়। এরপর নতুন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের প্রক্রিয়া শুরু হয়।
কিন্তু বারবার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয় পার্লামেন্ট। এর মধ্যে ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর গাজায় ইসরাইলের সামরিক আগ্রাসন ও হত্যাযজ্ঞ শুরু হয়। ইসরাইলের সঙ্গে সংঘাত শুরু হয় হিজবুল্লাহর।
প্রায় ১৪ মাসের রক্তক্ষয়ী লড়াইয়ের পর সম্প্রতি উভয় পক্ষের মধ্যে একটি যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয়। যুদ্ধবিরতির পর নতুন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে আন্তর্জাতিক চাপ বাড়ে। তাছাড়া দেশটি পুনর্গঠনের জন্য বৈদেশিক সাহায্য চায়। এমন পরিস্থিতিতে ১৩তম বারের চেষ্টায় প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে সফল হল লেবানন।
আরও পড়ুন: সৌদিতে ভয়াবহ বন্যা, মক্কা-মদিনায় ‘হাই রেড অ্যালার্ট’
বৈরুত থেকে আল জাজিরার এক সাংবাদিক বলেন, লেবাননে ক্ষমতার ভারসাম্য বদলে গেছে। কারণ লেবাননের সঙ্গে ইসরাইলের যুদ্ধ হিজবুল্লাহকে ‘দুর্বল’ করে তুলেছে।
তিনি আরও বলেন, ‘দেশটির পুনর্গঠনের জন্য কোটি কোটি ডলারের অর্থের প্রয়োজন এবং সেই অর্থ ততক্ষণ পর্যন্ত আসবে না যতক্ষণ না লেবানন এমন একজন প্রেসিডেন্ট নির্বাচন করে যাকে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় সংস্কারমুখী বলে মনে করে।’
]]>