ম্যাচ শুরুর আগে কি ধকলটাই না গেছে দুই দলের অধিনায়কের ওপর দিয়ে। কারণ শেখ জায়েদ স্টেডিয়ামের থেকে দুবাই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামের দুরত্ব দেড়শ কিলোমিটার। সেখানে অধিনায়কদের সংবাদ সম্মেলন শেষ করে ফিরে এসেই নামতে হয়েছে মাঠে।
এ দিন আগে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা ভালোই করেছিল আফগানিস্তান। এক প্রান্তে দ্রুত রান তোলার দিকে মনোযোগ ছিল সেদিকুল্লাহ আতালের। তবে রহমানুল্লাহ গুরবাজ তাকে ঠিকঠাক সঙ্গ দিতে পারলেন আর কই। তৃতীয় ওভারের প্রথম বলেই বিশাল এক ছক্কা হাঁকালেন। তবে আয়ুশ শুকলার দ্বিতীয় বলে ফের ছক্কা হাঁকাতে গিয়ে বল তুলে দিলেন আকাশে। মিড-অফে থাকা নিজাকত খান খানিকটা পেছনে বল তালুবন্দি করেন। ৫ বলে ৮ রান করেই বিদায় নিতে হলো গুরবাজকে।
আরও পড়ুন: ২১ বছর পর এশিয়া কাপে নেই ভারত-বাংলাদেশেরে দুই কিংবদন্তি
৩ নম্বরে ব্যাট করতে নেমে ইব্রাহিম জাদরান উইকেটে টিকতে পেরেছিলেন মাত্র ৪ বল। ১ রান এই ব্যাটারকে ফেরান আতিক ইকবাল। চারে ব্যাট করতে নেমে মোহাম্মদ নবি জুটি বাঁধেন আতালের সঙ্গে। দুজনের জুটি থেকে আসে ৪১ বলে ৫১ রান। কিঞ্চিৎ শাহ’র বলে নিজাকত খানের হাতে ক্যাচ দিয়ে নবি ফিরলে ভাঙে এই জুটি। আউট হওয়ার তার ব্যাট থেকে আসে ২৬ বলে ৩৩ রান।
গুলবাদিন আউট হন ৮ বলে ৫ রান করেই। এরপর উইকেটে এসে ব্যাট হাতে রীতিমতো ঝড় তোলেন আজমতউল্লাহ ওমরজাই। ৫ ছক্কা ও ২টি চারে ২১ বলে খেলেন ৫৩ রানের ক্যামিও। এরপর করিম জানাত আউট হন ৩ বলে ২ রান করে। এক প্রান্ত আগলে রেখে ৫২ বলে ৭৩ রানে অপরাজিত থাকেন ওপেনার সেদিকুল্লাহ আতাল। শেষ পর্যন্ত নির্ধারিত ২০ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে ১৮৮ রানের সংগ্রহ পায় আফগানিস্তান।
]]>