বৃহস্পতিবার (২৫ সেপ্টেম্বর) অলিখিত সেমিফাইনালে বাংলাদেশের মুখোমুখি হবে পাকিস্তান। এর আগে আজ (২৪ সেপ্টেম্বর) সংবাদ সম্মেলনে আফ্রিদিকে সূর্যকুমারের মন্তব্য নিয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, 'এটা তার মতামত, বলতে দিন। আমরা যখন (রোববার সম্ভাব্য ফাইনালে) মুখোমুখি হব, তখন দেখা যাবে কী হয়, কী না হয়। আমরা এখানে এসেছি এশিয়া কাপ জিততে, আর আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করব।'
ভারত-পাকিস্তান দ্বৈরথ নিয়ে সূর্যকুমার বলেছিলেন, বাস্তবিক প্রতিদ্বন্দ্বী হলে ফলাফলের ব্যবধান এতটা বড় হতে পারে না। টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে মুখোমুখি লড়াইয়ে ১২-৩ ব্যবধানে এগিয়ে ভারত।
চলতি টুর্নামেন্টে দুই দল মুখোমুখি হওয়া দুই ম্যাচই ভারত সহজে জিতেছে। তবে উত্তেজনা তৈরি হয়েছিল ভারতীয় দল পাকিস্তাননি খেলোয়াড়দের সঙ্গে করমর্দন এড়িয়ে গেলে—যা তারা করেছে পাহালগাম সন্ত্রাসী হামলার (যেখানে পাকিস্তান-সমর্থিত জঙ্গিরা জড়িত ছিল বলে দাবি ভারতের) শিকারদের প্রতি সংহতি জানাতে।
আরও পড়ুন: ভারতের শক্তি-দুর্বলতা দেখিয়ে বাংলাদেশকে জয়ের টোটকা দিলেন মাঞ্জরেকার
সুপার ফোরে ফিরতি লড়াইয়ে উত্তেজনা তৈরি হয়েছিল পাকিস্তানি খেলোয়াড়দের সমর্থক ও প্রতিপক্ষ ক্রিকেটারদের উদ্দেশে আক্রমণাত্মক ইশারার কারণে। হারিস রউফ ও সাহিবজাদা ফারহানের আচরণ ইচ্ছাকৃত কি না—প্রশ্ন উঠেছে সেটি নিয়েও। রউফ ব্যঙ্গাত্মক ভঙ্গি করে গত এপ্রিলের সংঘাতে ভারতীয় বিমান ভূপাতিত করার বিষয়টি স্মরণ করিয়ে দেন, আর ফারহানের উসকানিমূলক বন্দুক-ছোঁড়ার মতো সেলিব্রেশন সুপার ফোরের ম্যাচে বিতর্ক তৈরি করে।
এ প্রসঙ্গে আফ্রিদি বলেন, 'আলাদা করে আক্রমণাত্মক হওয়ার কোনো পরিকল্পনা নেই। আমরা সবসময় আক্রমণাত্মক থেকেছি, যখন থেকে খেলতে শুরু করেছি। এভাবেই ক্রিকেট খেলা হয়, এভাবেই দলের মনোবল উঁচু থাকে।'
আরও পড়ুন: অস্ট্রেলিয়া সিরিজে অনিশ্চিত কোহলির প্রত্যাবর্তন
তিনি আরও যোগ করেন, 'আমরা এখনও ফাইনালে পৌঁছাইনি। পৌঁছালে তখন ভাবব।' দুই দলের মধ্যে 'আসলে কী চলছে' এমন প্রশ্নে আফ্রিদি রসিকতা করে পাল্টা প্রশ্ন করেন, 'কী চলছে?'
রউফ ও ফারহানের ঘটনায় সুনির্দিষ্ট প্রশ্ন করা হলে আফ্রিদি আবারও এড়িয়ে গিয়ে বলেন, 'আমাদের কাজ ক্রিকেট খেলা, মানুষ যা খুশি ভাবতে পারে। আমরা এখানে এসেছি এশিয়া কাপ জিততে। পাকিস্তানের আশাগুলো পূরণ করতে আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করছি।'