সুষ্ঠু বিসিবি নির্বাচন নিয়ে শঙ্কা সৌম্য-তাইজুলদের

১ সপ্তাহে আগে
আগামী ৬ অক্টোবর অনুষ্ঠিতব্য বিসিবি নির্বাচনকে ঘিরে উত্তাপ ছড়াতে শুরু করেছে। সভাপতি পদের বড় দুই প্রতিপক্ষ ইতোমধ্যেই দৃশ্যমান- বিসিবি সভাপতি আমিনুল ইসলাম বুলবুল এবং তারকা ব্যাটার তামিম ইকবাল। নির্বাচনের সময় যতই এগোচ্ছে, ততই লড়াইটা নজরে আসছে। এই লড়াইয়ে দুই ভাগে বিভক্ত হয়ে পড়েছেন সংগঠক থেকে শুরু করে ক্রিকেটাররাও।

নির্বাচনের চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশের চূড়ান্ত করা হবে আগামীকাল (২৬ সেপ্টেম্বর)। গত মঙ্গলবার (২৩ সেপ্টেম্বর) ঘোষণা করা হয়েছে খসড়া ভোটার তালিকা। খসড়া তালিকায় জায়গা পাওয়া অনেকেকে নিয়ে চলছে আলোচনা-সমালোচনা। পরিকল্পিতভাবে কিছু ক্লাবকে বাদ দেয়ার অভিযোগও উঠেছে। এরই মধ্যে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নির্বাচনের সুষ্ঠুতা নিয়ে আশঙ্কা প্রকাশ করে পোস্ট করেছেন জাতীয় দলের বেশকিছু ক্রিকেটার।

 

নির্বাচনের সুষ্ঠুতা নিয়ে হতাশা প্রকাশ করে গতকাল (২৪ সেপ্টেম্বর) একই স্ট্যাটাস দিয়েছেন সৌম্য সরকার, তাইজুল ইসলাম, ইরফান শুক্কুর, মোহাম্মদ মিঠুন, মুমিনুল হক। একই দিন প্রায় একই ধরনের স্ট্যাটাস দিয়েছেন এনামুল হক বিজয়ও। আজ একই বিষয়ে স্ট্যাটাস দিয়েছেন সদ্য সাবেক টাইগার অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্তও।

 

মুমিনুল-তাইজুলরা ফেসবুক স্ট্যাটাসে লিখেছেন, ‘বিসিবি নির্বাচন ঘিরে যা যা হচ্ছে, এসব কখনোই কাম্য নয়। এটা বাংলাদেশ ক্রিকেট ও ক্রিকেটারদের ভবিষ্যতের ব্যাপার। আমরা চাই, বিসিবি নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হোক।’

 

আরও পড়ুন: আমাকে ধরতে চাইলে আপনারাও ধরা পড়বেন, তামিমের হুঁশিয়ারি

 

এনামুল হক বিজয় লিখেছেন, ‘আমরা চাই, বিসিবি নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হোক। এটা বাংলাদেশ ক্রিকেট ও ক্রিকেটারদের ভবিষ্যতের ব্যাপার।’

 

শান্ত লিখেছেন, 'আমরা সবাই চাই বিসিবি নির্বাচন হোক আস্থা এবং ঐক্যের প্রতীক যেখানে জয়ী হবে শুধু বাংলাদেশের ক্রিকেট।

 

বিসিবি নির্বাচনের আনুষ্ঠানিক প্রক্রিয়া শুরু হতে না হতেই নাটকীয়তা দেখা দিয়েছে। নির্বাচনের আগেই প্রতিপক্ষ আমিনুল ইসলাম বুলবুলের বিপক্ষে ক্ষমতার অপব্যবহারের অভিযোগ তুলেছেন তামিম ইকবাল। নিয়মের বাইরে গিয়ে অ্যাডহক কমিটি থেকে কাউন্সিলর মনোনয়নের জন্য জেলা ও বিভাগীয় ক্রীড়া সংস্থায় চিঠি দেয়ার অভিযোগ উঠেছে বিসিবি সভাপতির বিরুদ্ধে। এই অভিযোগ কোর্টে উঠলে অবশ্য সেই চিঠির কার্যকারিতা স্থগিত করে হাইকোর্ট।

 

এসব জটিলতার কারণে কাউন্সিলরের খসড়া তালিকা প্রকাশের দিন পেছানো হয়েছে দুইবার। তবুও নির্ধারিত দিনে তালিকা ঘোষণা করা সম্ভব হয়নি। আনুষ্ঠানিক তফসিলে ২২ তারিখ এই তালিকা প্রকাশের কথা থাকলেও সেটা করা হয় ২৩ সেপ্টেম্বর। খসড়া তালিকায় মোট ১৭২ জন কাউন্সিলরের নাম প্রকাশ করা হয়। ৫টি জেলা সংস্থার মনোনয়ন চূড়ান্ত না হওয়ায় তাদের নাম প্রকাশ করা হয়নি। বিতর্ক থাকায় ১৫ টি ক্লাবকে আপিল করার সুযোগ দেয়া হয়েছিল।

]]>
সম্পূর্ণ পড়ুন