রোববার (২৫ মে) প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিরা বৈঠক করেন। পরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।
মান্না বলেন, ড. ইউনূস বলেছেন কম সংস্কার হলে ডিসেম্বর, আরেকটু বেশি হলে জুনের মধ্যে নির্বাচন হবে।
সমগ্র জাতি চায় না ড. ইউনূস পদত্যাগ করুন। এজন্য রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে যোগাযোগ বাড়ানোর পরামর্শ দেন তিনি।
প্রধান উপদেষ্টা জাতীয় ঐক্যের কথা বলেছেন জানিয়ে মান্না বলেন, ভারতীয় আধিপত্যবাদ জুলাই আন্দোলনকে অস্বীকার করে, আমাদের শেষ করার ষড়যন্ত্র করছে বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা।
বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি- সিপিবির সাবেক সভাপতি মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম বলেন, দেশের ভেতরে এবং বাইরে গণঅভ্যুত্থানকে ব্যর্থ করতে ষড়যন্ত্র চলছে। সেদিকে সতর্ক দৃষ্টি রাখতে হবে। সংস্কার অর্থবহ করতে হলে তা জনগণের মতামত নিয়ে করতে হবে বলে জানান তিনি।
আরও পড়ুন: ৫ ফেব্রুয়ারি নির্বাচন চায় এবি পার্টি
সংস্কারের মৌলিক বিষয়গুলো জনগণের হাতে ছেড়ে দেয়ার আহ্বান নিয়ে সেলিম বলেন, নির্বাচনের সময় আরও বেশি পেছালে পরিস্থিতি আরও খারাপ হতে পারে।
বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক বলেন, প্রধান উপদেষ্টার পদত্যাগ কোনো সমাধান নয়, বরং সমস্যা বাড়বে। এজন্য আমরা ইউনূস সরকারের প্রতি আস্থা রাখতে চাই।
অন্তর্বর্তী সরকারকে সব রাজনৈতিক দলের প্রতি সমান আচরণের আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, সব রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সমান আচরণ করতে হবে। ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নিরপেক্ষতা বজায় রাখার আহ্বান জানান তিনি।
এসময় নির্বাচনের সুনির্দিষ্ট রোডম্যাপ ঘোষণার দাবিও জানান সাইফুল হক।
গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি বলেন, বিদেশি সহযোগিরা পতিত সরকারের সঙ্গে জোট করে দেশকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করছে। এজন্য ড. মুহাম্মদ ইউনূস সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানিয়েছেন। এজন্যই তিনি সবাইকে ডেকেছেন, শুনছেন।
আরও পড়ুন: ডিসেম্বর থেকে জুনের মধ্যেই নির্বাচন, বিএনপিকে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা
তিনি বলেন, যত বাধাবিপত্তি থাকুক না কেন, যে জাতীয় দায়িত্ব তিনি পেয়েছেন, সেটি পূর্ণ করেই তাকে যেতে হবে। এর অন্যথা হবে না।
নির্বাচনের সুনির্দিষ্ট রোডম্যাপ চেয়েছে গণ সংহতি আন্দোলন জানিয়ে সাকি বলেন, এটা হলেই রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা আসবে।
তিনি আরও বলেন, সংস্কারের যেসব বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলো ঐকমত্য হবে তা জুলাই সনদে অন্তর্ভুক্ত করে, অমীমাংসিত বিষয়গুলো নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণের ওপর ছেড়ে দিতে হবে। এই প্রক্রিয়ার বাইরে গেলে সংঘাত সৃষ্টি হতে পারে।
সরকারকে নিয়মিত বিরতিতে রাজনৈতিক দলসহ অংশীজনদের নিয়ে আলোচনায় বসার আহ্বানও জানান সাকি।
তিনি আরও বলেন, সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য যে পরিবেশ দরকার, সে রকম পরিস্থিতি তৈরি হলেই ড. ইউনূস সুনির্দিষ্ট রোডম্যাপ দেবেন। তবে প্রধান উপদেষ্টা বলেছেন কোনোভাবেই ৩০ জুন অতিক্রম করবে না।