শুক্রবার (১৯ সেপ্টেম্বর) দুপুর সাড়ে ১টার দিকে উপজেলার সদর ইউনিয়নের লক্ষ্মীপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত সেজাউল ইসলাম ওই গ্রামের মুজিবুর রহমানের ছেলে।
স্থানীয় সূত্র জানায়, জামালগঞ্জ সদর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান সাজ্জাদ মাহমুদ তালুকদার ও বর্তমান ইউপি সদস্য কামরুল ইসলামের অনুসারীদের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে দ্বন্দ্ব চলছিল। পূর্বের কমিটি নিয়ে বিরোধ ও নেতৃত্বের দ্বন্দ্ব থেকেই এই সংঘর্ষের সূত্রপাত ঘটে।
সংঘর্ষে গুরুতর আহত হন হাবিব মিয়ার ছেলে শুভ হাসান (২৫), রেনু মিয়ার ছেলে মজিদ হোসেন (৩৫), এবং কামরুল ইসলামের ছেলে তানিম (২২)। তাদের জামালগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়ার পর সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। মোট আহতের সংখ্যা ১২ জন হলেও তাদের মধ্যে অন্তত ৩ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে চিকিৎসকরা জানিয়েছেন।
আরও পড়ুন: নরসিংদীর চরাঞ্চলে সংঘর্ষ, গুলিবিদ্ধ হয়ে একজন নিহত
জামালগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘ওয়ার্ড বিএনপির কমিটি গঠনকে কেন্দ্র করেই এ সংঘর্ষ ঘটে। এতে একজন নিহত ও ১০ জন আহত হন।’
তিনি আরও বলেন, ‘ঘটনাস্থল থেকে শাখাওয়াত হোসেন (৩৫), নূর আলম (৩৪), ইমার হোসেন (৩৭) ও মোহাম্মদ আলীসহ (৪০) চারজনকে আটক করা হয়েছে।’
বর্তমানে এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে এবং পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে।