সুদানে ২ বছরের সংঘাতের পর যুদ্ধবিরতি প্রস্তাবে সম্মত আরএসএফ

২ সপ্তাহ আগে
সুদানে যুদ্ধবিরতির জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রস্তাবে সম্মত হয়েছে র‍্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সেস (আরএসএফ)। সুদানের সশস্ত্র বাহিনীর (এসএএফ) সাথে দুই বছরেরও বেশি সময় ধরে লড়াইয়ের পর এই যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হওয়ার কথা জানালো আরএসএফ।

বৃহস্পতিবার (৬ নভেম্বর) আল জাজিরার প্রতিবেদনে এ খবর জানানো হয়।

 

বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে আধাসামরিক বাহিনী আরএসএফ জানায়, তারা যুদ্ধের বিপর্যয়কর মানবিক পরিণতি মোকাবেলা এবং বেসামরিক নাগরিকদের সুরক্ষা বৃদ্ধির জন্য মার্কিন নেতৃত্বাধীন মধ্যস্থতাকারী গোষ্ঠীর প্রস্তাবিত মানবিক যুদ্ধবিরতি মেনে নেবে। এই গোষ্ঠীতে সৌদি আরব, মিশর এবং সংযুক্ত আরব আমিরাত অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।

 

আরও পড়ুন:সুদানের এল-ফাশারে কী ঘটছে, কীভাবে জড়িত আরব আমিরাত

 

তবে, সুদানের সামরিক বাহিনী থেকে তাৎক্ষণিকভাবে কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি।


এই সপ্তাহের শুরুতে, আরব ও আফ্রিকান বিষয়ক মার্কিন জ্যেষ্ঠ উপদেষ্টা মাসাদ বোলোস বলেছিলেন, একটি যুদ্ধবিরতিতে পৌঁছানোর প্রচেষ্টা চলছে এবং যুদ্ধরত পক্ষগুলো ‘নীতিগতভাবে একমত’ হয়েছে।


সোমবার সুদান ট্রিবিউন সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত এক বিবৃতিতে বোলোস আরও বলেন, 
‘আমরা উভয় পক্ষের কাছ থেকে কোনো প্রাথমিক আপত্তি পায়নি। আমরা এখন সূক্ষ্ম বিবরণের উপর মনোযোগ দিচ্ছি।’


প্রতিবেদনে বলা হয়, এই পরিকল্পনাটি তিন মাসের মানবিক যুদ্ধবিরতির মাধ্যমে শুরু হবে যা একটি স্থায়ী রাজনৈতিক সমাধানের পথ তৈরি করতে পারে, যার মধ্যে একটি নতুন বেসামরিক সরকার অন্তর্ভুক্ত থাকবে।

 

এদিকে, আরএসএফ জানিয়েছিল, তারা এই দুই বছরের সংঘাতের অবসান চায়।


তবে, সুদানের সশস্ত্র বাহিনী এসএএফ বারবার বলেছে, তারা লড়াই চালিয়ে যেতে চায়, আরও বলা হয়েছে যে সেনা কর্মকর্তারা বিশ্বাস করেন না যে, আরএসএফের সদস্যদের সুদানী সমাজে পুনরায় একীভূত করা যাবে।

 

১৮ মাস ধরে অবরোধ এবং ২৬ অক্টোবর উত্তর দারফুর রাজ্যের এল-ফাশার শহর দখলের পর থেকে আরএসএফ গণহত্যার অভিযোগের মুখোমুখি হওয়ার পর এই ঘোষণাটি এলো।


আরএসএফ এখন বিশাল পশ্চিম দারফুর অঞ্চল এবং দেশের দক্ষিণের কিছু অংশে আধিপত্য বিস্তার করছে, যখন সেনাবাহিনী নীল নদ এবং লোহিত সাগরের তীরবর্তী উত্তর, পূর্ব এবং মধ্য অঞ্চলগুলো দখল করে আছে।


জাতিসংঘের তথ্য অনুযায়ী, আরএসএফের দখলের পর থেকে ৭০,০০০ এরও বেশি মানুষ এল-ফাশার এবং আশেপাশের এলাকা থেকে পালিয়ে গেছে।

 

আরও পড়ুন:সামিয়া হাসান আবারও তানজানিয়ার প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত

 

অন্যদিকে, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা শহর দখলের সময় একটি শিশু হাসপাতালে ৪৬০ জনেরও বেশি রোগী এবং চিকিৎসা কর্মীদের মর্মান্তিক হত্যার রিপোর্ট করেছিল।

]]>
সম্পূর্ণ পড়ুন