এ নিয়ে কাজ করছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা। এ এলাকার একটি বড় জনগোষ্ঠী মাদকের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট, তারা এটাকে জীবিকা হিসেবে নিয়েছে। মাদক কারো জীবিকা হতে পারে না। তাই মাদকের সঙ্গে যাদের সংশ্লিষ্টতা পাওয়া যাবে তারা যেকোনো পর্যায়ের হোক, তাদের শাস্তির আওতায় আনা হবে।
টেকনাফ সীমান্তে যানবাহন ও ঘাট থেকে চাঁদা আদায়কারীদের বিরুদ্ধে পুলিশ খুব দ্রুত অভিযান চালাবে বলে জানিয়েছেন চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি মো. আহসান হাবীব পলাশ।
মঙ্গলবার বিকেলে টেকনাফ মডেল থানা পরিদর্শন শেষে এ সব জানান তিনি।
এসময় উপস্থিত ছিলেন ১৬ এপিবিএনের অধিনায়ক অতিরিক্ত ডিআইজি মুহাম্মদ কাউছার সিকদার, কক্সবাজারের পুলিশ সুপার সাইফউদ্দীন শাহীন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ট্রাফিক) মো. জসিম উদ্দীন চৌধুরী, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) আহমেদ পেয়ার এবং ওসি মুহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন প্রমুখ।
আরও পড়ুন: রোহিঙ্গাদের প্রতি বিশ্ব সম্প্রদায়েরও বড় দায় আছে: কক্সবাজারে দুই উপদেষ্টা
ডিআইজি মো. আহসান হাবীব পলাশ বলেন, পুলিশের সদস্যরা যদি কোনো অপরাধে জড়িয়ে পড়ে, তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে।
তিনি আরও বলেন, ‘৫ আগস্টের পর টেকনাফে যারা চাঁদাবাজে জড়িয়ে পরছে তাদের বিরুদ্ধে অ্যাকশনে যাবে পুলিশ। কোন চাঁদাবাজ ছাড় পাবে না। পাহাড়ে অপহরণকারী- অস্ত্রধারীদের ধরা পুলিশের একার পক্ষে সম্ভব না, তাই সেখানে যৌথ অভিযান চালানো হবে। এছাড়া পুলিশের কাছ থেকে লুট হওয়া অস্ত্রসহ সীমান্তে অবৈধ অস্ত্রধারীদের ধরতে পুলিশ টেকনাফসহ সারা দেশে অভিযান চলবে। ইতিমধ্যে বিভিন্ন জায়গা থেকে উদ্ধার হওয়া অস্ত্রের মধ্যে দেখা গেছে পুলিশের অস্ত্রও। সবার সাহায্যে সীমান্তকে অপরাধ মুক্ত করতে চেষ্টা চলছে সরকারের।’
এই সময় পরিদর্শনকালে থানায় পুলিশ নারী কল্যাণ সমিতি সভা নেত্রীর (পুনাক) পক্ষ থেকে ২৫ জন পথ শিশুদের মাঝে শিক্ষা সামগ্রী-বস্ত্র তুলে দেয়। এছাড়া থানা প্রাঙ্গণে বৃক্ষরোপণ করেন তিনি।
]]>