সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে নিহত ইব্রাহীমের বাড়িতে এনসিপি নেতারা

৪ সপ্তাহ আগে
চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদার ঝাঝাডাঙ্গা সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে নিহত ইব্রাহীম হোসেনের পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে তার গ্রামের বাড়ি ছুটে গেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) কেন্দ্রীয় নেতারা।

 বুধবার (৯ জুলাই) বিকেলে এনসিপি নেতারা ঝাঝাডাঙ্গা গ্রামের মাঝেরপাড়ায় গিয়ে শোকাহত পরিবারের সদস্যদের সান্ত্বনা দেন, নিহতের কবর জিয়ারত করেন এবং সীমান্ত এলাকা পরিদর্শন করেন।


প্রতিনিধি দলে উপস্থিত ছিলেন- এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম, সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক সামান্থা শারমিন, যুগ্ম আহ্বায়ক ড. আতিক মুজাহিদ, সদস্য সচিব আখতার হোসেন, সিনিয়র যুগ্ম সদস্য সচিব ডা. তাসনিম জারা, মুখ্য সমন্বয়কারী নাসির উদ্দিন পাটোয়ারী, উত্তর অঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম, দক্ষিণ অঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ, নুসরাত তাবাসসুমসহ অন্যান্য কেন্দ্রীয় নেতারা।


নেতারা নিহত ইব্রাহীম হোসেনের বাবা নুর ইসলাম, মা হাজেরা বেগম, স্ত্রী সাহিনা বেগম ও তিন বছরের কন্যা আয়েশা খাতুনের পাশে বসে ঘটনার বিস্তারিত শোনেন।


এ সময় এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম বলেন, 'বিএসএফের গুলিতে একজন নিরীহ বাংলাদেশি নাগরিকের মৃত্যুকে আমরা নীরবে মেনে নেব না। ইব্রাহীমের রক্ত বৃথা যেতে দেয়া হবে না। এই বিষয়ে আমরা সর্বোচ্চ পর্যায়ে কথা বলব।'


এরপর প্রতিনিধি দলটি নিহতের কবর জিয়ারত করেন এবং কিছুক্ষণ নীরবে দাঁড়িয়ে থাকেন। পরে সীমান্তে গিয়ে 'ইব্রাহীমের রক্ত বৃথা যেতে দেব না' এই স্লোগান দেন তারা।


আরও পড়ুন: বিএসএফের গুলিতে নিহত বাংলাদেশি কৃষকের মরদেহ ৭ দিন পর ফেরত পেল পরিবার


সন্ধ্যায় দর্শনা বাসস্ট্যান্ড মোড়ে সাধারণ মানুষের সঙ্গে সংক্ষিপ্ত মতবিনিময় শেষে এনসিপি নেতারা ঝিনাইদহের উদ্দেশে চুয়াডাঙ্গা ত্যাগ করেন।


উল্লেখ্য, গত ২ জুলাই দুপুরে ইব্রাহীম হোসেন ও কয়েকজন ঘাস কাটতে গিয়ে সীমান্তের ৭৯নং মেইন পিলার সংলগ্ন গালারমাঠ এলাকা দিয়ে অনিচ্ছাকৃতভাবে ভারতীয় সীমান্তে প্রবেশ করেন। এ সময় ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ) ৩২ হালদাপাড়া ক্যাম্পের টহল দল তাদের লক্ষ্য করে গুলি ছুড়লে ইব্রাহীম নিহত হন। পরে ৮ জুলাই রাতে বিএসএফ ও ভারতীয় পুলিশ তার মরদেহ বাংলাদেশের বিজিবি ও দর্শনা থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে।

]]>
সম্পূর্ণ পড়ুন