শনিবার (২৬ এপ্রিল) রাত সাড়ে ৮টার দিকে উপজেলার চাকঢালা বিওপির নিকটবর্তী ৪৪ নম্বর সীমান্ত পিলারের জিরো লাইনে এই ঘটনা ঘটে।
আহত যুবকের নাম জুবাইর। তিনি চাকঢালা লাম্বামাঠ গ্রামের আব্দুল হকের ছেলে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, রাত সাড়ে ৮টার দিকে সীমান্তের ৪৪ নাম্বার পিলার এলাকায় মাইন বিস্ফোরণের শব্দ শুনে স্থানীয়রা দেখতে গেলে সেখানে এক যুবককে আহত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখেন। তাকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য নাইক্ষ্যংছড়ি সদর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। ওই যুবক সীমান্তে কেন গিয়েছেন সে বিষয়ে কিছু জানা যায়নি।
আরও পড়ুন: নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্তে মাইন বিস্ফোরণে যুবকের পা বিচ্ছিন্ন
তবে ধারণা করা হচ্ছে, সীমান্তের ওপার থেকে চোরাচালানের পণ্য আনতে গেলে এ ঘটনা ঘটে।
এ দিকে রোগীর অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাকে নাইক্ষ্যংছড়ি হাসপাতাল থেকে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষ কক্সবাজার সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন নাইক্ষ্যংছড়ি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মাসরুরুল হক।
আরও পড়ুন: ‘তোঁতার দিয়া’ সীমান্তে মাইন বিস্ফোরণে বাংলাদেশি জেলের পা বিচ্ছিন্ন
তিনি বলেন, ‘সীমান্তে মাইন বিস্ফোরণে এক যুবকের পা বিচ্ছিন্ন হয়েছে বলে খবর পেয়েছি। চিকিৎসার জন্য তাকে হাসপাতালে নেয়া হয়েছে।’
উল্লেখ্য, নাইক্ষ্যংছড়ির সীমান্তবর্তী লাগোয়া মিয়ানমার সীমান্ত দিয়ে চোরাকারবারিরা প্রায় চোরাই পণ্য আনা-নেয়া করেন। সেখানে আরাকান আর্মির সদস্যরা স্থলমাইন পুঁতে রাখায় প্রায় সময় বিস্ফোরণে আহত হওয়ার ঘটনা ঘটে।
এর আগে গত ৭ এপ্রিল সীমান্তে স্থলমাইন বিস্ফোরণে আরেক বাংলাদেশি যুবকের পা বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়।