সিলেটে সরকারিভাবে ধান-চাল সংগ্রহে ব্যাপক অনিয়ম, নয় ছয়ের সিন্ডিকেট!

৩ সপ্তাহ আগে
অনেকটা ঢাকঢোল পিটিয়ে প্রতি বছরই কৃষক পর্যায় থেকে সরকারিভাবে ধান কেনার খবর ছড়িয়ে দিতে চেষ্টার কমতি থাকে না খাদ্য বিভাগের কর্মকর্তাদের। তবে খবর যতটা রটানো হয়, তার ঠিক কতোটা সঠিক কার্যক্রম ঘটানো হয় তা নিয়ে আছে অধিক সংশয়।

যার কারণ কৃষক ও সাধারণ শ্রেণিপেশার মানুষের পক্ষ থেকে উঠে এসেছে বিস্তর দুর্নীতির অভিযোগ। অন্য বছর মৌখিক অভিযোগ শোনা গেলেও চলতি বছরে সিলেট অঞ্চলে সরকারিভাবে ধান-চাল সংগ্রহে খাদ্য বিভাগের কতিপয় কর্মকর্তা ও কিছু মিল মালিকদের মধ্যকার টাকা লেনদেনসহ খাদ্য গুদামে ধান ও চাল সংগ্রহের সময় আদ্রতার নির্ধারিত মাত্রা না মানা ও কৃষিকার্ড বিক্রির অভিযোগ লিখিতভাবে জমা পড়েছে সরকারের খাদ্য মন্ত্রণালয়ে।


খাদ্য মন্ত্রণালয়ে কৃষকের লিখিত অভিযোগ:

সরকারের খাদ্য উপদেষ্টার দপ্তরে গৃহীত সুনামগঞ্জের ধর্মপাশা উপজেলার প্রত্যন্ত গ্রামের একজন কৃষকের এ লিখিত অভিযোগ জমা হয় গত ১৫ জুন।

অভিযোগে উল্লেখ করা হয় ‘সরকারিভাবে ধান-চাল সংগ্রহে সুনামগঞ্জ ও সিলেট অঞ্চলের খাদ্যনিয়ন্ত্রক অফিসের আওতাধীন জেলা সদর এলএসডিসহ অধিকাংশ উপজেলার খাদ্য গুদামে ওসি এলএসডি কর্মকর্তাদের অনেকেই স্থানীয় মিল মালিকদের কাছ থেকে গোপন আর্থিক লেনদেনের বিনিময়ে বেশি আদ্রতার চাল সংগ্রহ করছেন। এক্ষেত্রে ওসি এলএসডিরা মিল মালিকের কাছ থেকে প্রতি টন ধান ছাঁটাইয়ে সর্বনিম্ন ১২শ’ টাকা থেকে শুরু করে সর্বোচ্চ ৩ হাজার টাকা পর্যন্ত নিচ্ছেন। ছাঁটাই করা বেশি আদ্রতার চাল সরবরাহ করার সুবিধা পাওয়ার বিনিময়ে মিলার রা ওসি এলএসডিদের টনপ্রতি আড়াই থেকে তিন হাজার টাকা দিচ্ছেন বলে অভিযোগ।

আরও পড়ুন: সময়ে সংবাদের পর সুনামগঞ্জের সেই পুলিশ কর্মকর্তাকে বদলি

অভিযোগে উঠে এসেছে,  ‘খাদ্য গুদামগুলোতে ওসি এলএসডিসহ কর্মকর্তাদের সহযোগিতায় দালাল সিন্ডিকেটের সদস্যরা কৃষকদের কাছ থেকে কৃষি কার্ড কিনে অগ্রিম চেকে স্বাক্ষর করিয়ে অনৈতিক ফায়দা লুটছে। এতে প্রকৃত কৃষকরা সরকারের কাছে তাদের কষ্টের ফসল বিক্রি করতে পারছে না। মিলছে না ন্যায্যমূল্য। এর বাইরেও কৃষকরা ধান বিক্রি করতে এলে নানা হয়রানি তো আছেই।


সময় সংবাদের অনুসন্ধান:

এমন অভিযোগের সূত্র ধরেই অনুসন্ধানে নামে সময় সংবাদ। সিলেট অঞ্চলের সবচেয়ে বেশি হাওড়ের জেলা সুনামগঞ্জে উল্লেখযোগ্য পরিমাণে বোরো ধান উৎপাদন ও ধান- চাল সংগ্রহ বেশি হওয়ায় এ জেলাকে গুরুত্ব দিয়ে ও সিলেট সদর উপজেলা এবং মৌলভীবাজারের রাজনগর এলাকাসহ শুরু হওয়া অনুসন্ধানের প্রাথমিক ধাপেই প্রমাণ মেলে গোপনে মিল মালিক ও খাদ্য গুদামের কতিপয় কর্মকর্তাদের মধ্যকার প্রচলিত আর্থিক লেনদেনের বিষয়টি।


সুনামগঞ্জের ছাতকে মিল মালিক ও খাদ্য গোদামের তদারকি কর্মকর্তাদের মধ্যকার গোপন আঁতাত ও লেনদেন সম্পর্কে জানতে পরিচয় গোপন রেখে কথা বললে অটো রাইসমিল মালিক সমিতির নেতৃত্বদানকারী একজন প্রভাবশালী মিল মালিকও জানান ধান ছাঁটাইয়ের পর সরবরাহ করা চালের ক্ষেত্রে আদ্রতা সরকার নির্ধারিত ১৪ শতাংশ অতিক্রম করে ১৬ শতাংশ হয়ে গেলেও এ চালও গুদাম কর্মকর্তাকে টনপ্রতি ১৫শ’ থেকে ২ হাজার টাকা করে দিয়ে সরকারের কাছে বিক্রি করা সম্ভব। প্রয়োজনে ১৬ শতাংশ আদ্রতার চাল নিতে গুদাম কর্মকর্তা বেশি টাকা চাইলে মিল মালিক সমিতির ওই নেতা নিজে ওসি এলএসডিকে বলে দেয়ার কথাও উল্লেখ করেন।


সময় সংবাদের প্রতিবেদককে গুদাম কর্মকর্তার টাকার অফার:


খাদ্য বিভাগের অসাদু কর্মকর্তাদের এই শুভঙ্করের ফাঁকি ধরতে সময় সংবাদের অনুসন্ধান শুরু হলে গত ১৬ জুন বিকেলে সুনামগঞ্জের শান্তিগঞ্জ এলএসডিতে গেলে সময় সংবাদের ক্যামেরা ঢুকতে প্রথমে নিষেধ করেন ওসি এলএসডি আব্দুল আহাদ।


তবে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের অনুমতি নিয়ে সেখানে গুদামে সরকারি বস্তায় করে ধান ঢোকানোর সময় আদ্রতা পরীক্ষা করতে চাইলে অফিস কক্ষ থেকে মেশিন নিয়ে আসেন একজন। এ মেশিন ধান-চাল সংগ্রহের সময় গুদামের দরজায় থাকার কথা।


গুদামে ঢোকানোর প্রস্তুতি নেয়ার সময় সরকারি বস্তায় থাকা ধানগুলো পরীক্ষা করে দেখা যায়, ১ টি বস্তা বাদে অধিকাংশ বস্তা ধানের আদ্রতা ১৫ শতাংশের বেশি, যা সর্বোচ্চ ১৪ শতাংশ থাকার কথা। সরকারের খাদ্য মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা অনুযায়ী, সঠিক আদ্রতা না থাকা পর্যন্ত সরকারি বস্তা সরবরাহ করতেই পারেন না গুদাম তদারকি কর্মকর্তা। কিছু চালের বস্তায়ও আদ্রতার মাত্রা ১৪ শতাংশের বেশি দেখা যায়।

আরও পড়ুন: তিনি দিনে পুলিশ, রাতে বালু লুটপাট চক্রের ‘ত্রাণকর্তা’

তবে ব্যাপারটি ধামাচাপা দিতে সময় সংবাদকে টাকা দিয়ে ম্যানেজ করার চেষ্টাও করেন ওসি এলএসডি আব্দুল আহাদ বলেন, ‘বাতাসের কারণে আদ্রতা ১৯-২০ থাকেই।’

অন্যদিকে, যার কাছ থেকে বেশি আদ্রতার ধান সংগ্রহ করা হচ্ছে তিনি নিজেকে কৃষক পরিচয় দিলেও কোনো কৃষি কার্ড দেখাতে পারেননি ওই ব্যক্তি।

একটি চক্রের পলায়ন:

অনুসন্ধানে একই দিন (১৬ জুন) শান্তিগঞ্জের আগে দুপুরে সুনামগঞ্জের মল্লিকপুর এলএসডিতে গিয়ে দেখা যায়, গুদামে ঢোকার প্রবেশ মুখেই জটলা পাকিয়ে অন্তত ৬ থেকে ৮ জন ব্যক্তি কেউ একজনের সঙ্গে আলাদাভাবে কথাবার্তা ঠিকঠাক করছেন। তাদের কাছে পরিচয় জানতে চাইলে সময় সংবাদের কাছে তারা নিজেদের কৃষক বলে দাবি করলেও কোনো কৃষিকার্ড দেখাতে পারেন নি। একপর্যায়ে তারা ক্যামেরা দেখে পালিয়ে যান। সেখানে উপস্থিত একজন ব্যক্তি দ্রুত একটি কাগজ লুকিয়ে মোটরসাইকেলে পালিয়ে যান।সেখানে থাকা অন্য একজন ব্যক্তি কৃষিকার্ডের ফটোকপি দেখান। তাদের কথা অনুযায়ী, তারা ধান দিতে আসা কৃষক হলেও অবস্থা অনুকূলে নেই অনুমান করে পালিয়ে যেতে থাকেন। ব্যাপারটি সন্দেহজনক মনে হয়।

 

এই এলএসডিতে একাধিক কৃষক জানান, সুনামগঞ্জের বিভিন্ন এলাকায় কৃষিকার্ড বিক্রি হয়ে যাওয়ার কথা। কৃষকদের মতে, একটি চক্র কৃষিকার্ড কিনে তাদের ব্যবসার ধান খাদ্যগুদামে  বিক্রি করার চেষ্টা করে।


তবে মল্লিকপুর ওসি এলএসডি কর্মকর্তা মো. শাহিনুর রেজা বলেন, ‘গুদামের প্রবেশপথে যাদের দেখেছেন, এরা গুদামের ভিতরে আসতে পারে না, আমরা কোনো দালালদের ভেতরে আসার সুযোগ পর্যন্ত দেয় না, আর কৃষিকার্ড বিক্রি কেউ করলেও আমাদের এখান থেকে সরাসরি কৃষকের একাউন্টে টাকা দেয়া হয়। মল্লিকপুর এলএসডি শতভাগ দুর্নীতিমুক্ত।’


রাইস মিলে সময় সংবাদ:

সুনামগঞ্জের মল্লিকপুর সরকারি খাদ্য গুদামে সর্বোচ্চ চাল সরবরাহকারী দুটি প্রতিষ্ঠান মো. জিয়াউল হকের হক অটো ড্রায়ার রাইস মিল ও রাসেল আহমদের ফয়সল অটো ড্রায়ার রাইস মিল। দুটি রাইস মিলের ভেতরে গিয়েও সরকারি বস্তায় সরবরাহ করা চালের ওজন ও আদ্রতা পরীক্ষা করে দেখে সময় সংবাদ।


এসময় রাইসমিল মালিক সমিতির সভাপতি মো. জিয়াউল হককে পাওয়া না গেলেও সমিতির সাধারণ সম্পাদক রাসেল আহমদ বলেন, ‘আমরা পরিমাণে বেশি দিলেও চালের গুনগত মান ঠিক রাখার সর্বোচ্চ চেষ্টা করি। তবে ছাঁটাইয়ের ক্ষেত্রে অন্য কোনো মিলারদের সঙ্গে খাদ্য বিভাগের কর্মকর্তাদের গোপন লেনদেনের বিষয়টি আমি জানি না। আমার সঙ্গে এমন লেনদেন হয়নি।’


আরও পড়ুন: সুনামগঞ্জে বালু উত্তোলন: ‘শর্ষের মধ্যেই ভূত’ বললেন স্থানীয়রা


ডিসি ফুড ও রিজিওনাল ফুড কর্মকর্তার ব্যাপারেও অন্য ইঙ্গিত:

শান্তিগঞ্জ ও মল্লিকপুর এলএসডির বাইরে জামালগঞ্জের সাচনা এলএসডিতে গিয়ে দেখা যায়, গুদামে সংগ্রহ করা ছাঁটাইকৃত চাল ও ধানের আদ্রতা অধিকাংশ ক্ষেত্রেই মন্ত্রণালয়ের নির্ধারিত আদ্রতা ১৪ শতাংশের ওপরে। 

ছাঁটাইয়ে মিল মালিক ও গুদাম কর্মকর্তাদের মধ্যকার টাকা লেনদেনের অভিযোগ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে সাচনা ওসি এলএসডি বিউটন চক্রবর্তী বলেন, ‘শুধু ওসি এলএসডিরা টাকা লেনদেন করেন এমন অভিযোগ পান? ডিসি ফুড ও রিজিওনাল ফুড স্যারদের টাকা লেনদেনের ব্যাপারে আপনাদেরকে কেউ অভিযোগ করে না?’


উল্লেখ্য, তিনি তার গুদামে পাওয়া অতিরিক্ত আদ্রতার চাল ও ধানের ব্যাপারে বাইরে বৃষ্টি হওয়াকে দায়ী করেন এবং সময় সংবাদের প্রতিবেদক দলের ভিডিও করে রাখেন। এই এলএসডিতে ছাঁটাইকৃত চালের খামালের বাইরের দিকে ভালো আদ্রতার চাল রেখে মাঝখানে অতিরিক্ত আদ্রতার চাল রাখারও অভিযোগ রয়েছে। যা খাদ্য বিভাগের কর্মকর্তাদের ছাড়া জেলা প্রশাসনের দায়িত্বশীল কর্মকর্তাদের মাধ্যমে অনুসন্ধান করলে বেরিয়ে আসবে বলে মনে করেন অভিযোগকারীরা। যদিও এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন সাচনা ওসি এলএসডি বিউটন চক্রবর্তী।


অটোরাইচ মিল মালিক সমিতির নেতার স্বীকারোক্তি:

সুনামগঞ্জের ছাতকের এলএসডিগুলোতে ধান ছাঁটাইয়ে মিল মালিকদের সঙ্গে কতিপয় গুদাম তদারকি কর্মকর্তাদের মধ্যকার লেনদেনের অভিযোগ থাকায় পরিচয় গোপন রেখে মুঠোফোনে কথা বলার সময় জেলা অটোরাইস মিল মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আশরাফ চৌধুরী বলেন, ‘ছাতকে আমরা ধান ছাঁটাইয়ে ময়েশ্চার যদি ১৬ শতাংশ হয়, তাহলে ওসি এলএসডিদেরকে টনে ২ হাজার করে টাকা দেই। ধর্মপাশায় যদি ছাঁটাইয়ে ময়েশ্চার (আদ্রতা) ১৬ শতাংশ হয়, তাইলে এর বেশি নিলে আমি ওসি এলএসডিকে বলে দেব, সমস্যা নেই।’


এই মিল মালিক নেতার বক্তব্যে সরকারি গুদাম কর্মকর্তা ও মিল মালিকদের গোপন লেনদেনের অভিযোগের প্রমাণ পায় সময় সংবাদ।


মৌলভীবাজারের রাজনগরে একই অবস্থা:

পরিচয় গোপন রেখে মৌলভীবাজারের রাজনগরে মহানুর রহমান নামে একজন মিল মালিকের সঙ্গে হোয়াটসঅ্যাপে কথা বলে সময় সংবাদ। তিনি মৌলভীবাজার অটোরাইস মিল মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক। তিনি বলেন, ‘ধান ছাঁটাইয়ে আমরা ওসি এলএসডিদের ১২শ’ করে টাকা দেই প্রতি টনে। রাজনগরের সঙ্গে অন্য এলাকার টাকার লেনদেনের হিসাব একইরকম হবে না। যদিও রাজনগরের গুদাম কর্মকর্তারা এমন অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তবে সঠিক ও নিরপেক্ষ তদন্ত হলে সত্যতা যাচাই সম্ভব বলে মনে করেন স্থানীয় সুধীজন।


অন্যদিকে হবিগঞ্জেও কিছু এলএসডি কর্মকর্তা ও মিল মালিকদের মধ্যে ধান ছাঁটাইয়ের ক্ষেত্রে গোপন লেনদেনের অভিযোগ রয়েছে। সেখানকার গুদাম কর্মকর্তারাও অনিয়মের অভিযোগ মিথ্যা বলে দাবি করেছেন।


সিলেট সদর খাদ্য গুদামে যা পাওয়া গেলো:

মঙ্গলবার (১৭ জুন) দুপুরে সিলেট সদর এলএসডির গুদামে চাল সরবরাহ করার সময় স্থানীয় একটি রাইসমিলের ট্রাক থেকে আদ্রতা পরীক্ষা না করেই চাল গুদামজাত করতে দেখে সময় সংবাদ। হাতেনাতে ধরা এ কার্যক্রম কিছু সময়ের জন্য বন্ধ রেখে আগে আদ্রতা পরীক্ষা করে দেখতে অনুরোধ জানায় সময় সংবাদ। এসময় আদ্রতা পরীক্ষার মেশিন গুদামের গেটে না থাকায় ওসি এলএসডির অফিস থেকে বাক্সবন্দি অবস্থায়  নিয়ে আসেন একজন কর্মকর্তা। চাল পরীক্ষার পর আদ্রতা ১৫ শতাংশের ওপরে দেখালে এসবের ছবি নিতে মানা করেন গুদাম কর্মকর্তারা। তাদের দাবি, বাতাসে আদ্রতা বেশি হয়েছে। এসময় ওসি এলএসডিকে তার অফিসে পাওয়া যায়নি।

আরও পড়ুন: সিলেটাঞ্চলের রেলপথে বাঁকে বাঁকে ‘মৃত্যুফাঁদ’

আর্থিক লেনদেনের প্রশ্নে খাদ্য নিয়ন্ত্রক:

ধান ছাঁটাইয়ে কিছু গুদাম কর্মকর্তাদের সঙ্গে কতিপয় মিল মালিকদের আর্থিক লেনদেন ও নিম্নমানের চাল সংগ্রহ নিয়ে সবচেয়ে আলোচনায় থাকা সুনামগঞ্জের জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকের কার্যালয়ে গেলে জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক হুমায়ূন কবিরকে অফিসে পাওয়া যায়নি। তবে আর্থিক লেনদেনের ব্যাপারে তিনি জড়িত থাকার ব্যাপারে তারই অধিনস্ত একটি এলএসডি কর্মকর্তার তোলা প্রশ্নের ব্যাপারে মুঠোফোনে তিনি বলেন, ‘আমার ওই এলএসডি কর্মকর্তা সম্পূর্ণ মিথ্যা একটা কথা বলেছে। আমি কোনো টাকা নেই না, আমি এবং রিজিওনাল ফুড মহোদয়ের সঙ্গে কারো টাকা লেনদেনের ব্যাপারে আমাদের ফুড অফিসের কোনো কর্মকর্তার করা প্রশ্নের সঠিক প্রমাণ থাকলে আমরা ব্যবস্থা নেব।’


এ ব্যপারে জানতে চাইলে সিলেট আঞ্চলিক খাদ্য নিয়ন্ত্রক এসএম সাইফুল ইসলামের সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তিনি কল রিসিভ করেননি।


উলেখ্য, এবছর সরকারিভাবে কৃষক পর্যায়ে আদ্রতা মানার শর্তে ধান ও চাল সংগ্রহ শুরু হয় গত ২৪ এপ্রিল।
যা শেষ হবে আগামী ৩১ আগস্ট।

]]>
সম্পূর্ণ পড়ুন