সিলেটে জুলাইযোদ্ধাকে কিল-ঘুষি, এএসআই প্রত্যাহার

১ সপ্তাহে আগে
সিলেটের লামাবাজার এলাকায় গেজেটভুক্ত জুলাইযোদ্ধা ইসলাম উদ্দিনকে মারধরের অভিযোগে লামাবাজার পুলিশ ফাঁড়ির এএসআই জসিমকে সাময়িক বরখাস্ত করে পুলিশ লাইনে প্রত্যাহার করা হয়েছে। একই সঙ্গে অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনারের নেতৃত্বে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।

সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনার রেজাউল করিম জানান, অভিযোগ পাওয়ার পরপরই এসআই জসিমকে প্রত্যাহার করে পুলিশ লাইনে সংযুক্ত করা হয়। তদন্ত কমিটিকে আজকের মধ্যেই প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে। প্রতিবেদনের সুপারিশ অনুযায়ী তার বিরুদ্ধে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।


এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন, সিলেট-এর মিডিয়া সেলের সম্পাদক ও যুগ্ম সদস্য সচিব ফখরুল হাসান জানান, শুক্রবার ফজরের নামাজের পর দোকান খোলার কারণে পুলিশি নির্যাতনের শিকার হন লামাবাজার এলাকার গেজেটভুক্ত জুলাইযোদ্ধা ইসলাম উদ্দিন। আন্দোলনে আহত হয়ে বর্তমানে সিএনজি চালাতে না পারায় তিনি জীবিকা নির্বাহের জন্য একটি ছোট চায়ের দোকান চালান।

আরও পড়ুন: সিলেট সীমান্তে কোটি টাকার ভারতীয় পণ্য জব্দ

প্রত্যক্ষদর্শীদের উদ্ধৃতি দিয়ে ফখরুল হাসান জানান, প্রতিদিনের মতো ফজরের পর দোকান খুললে এসআই জসিম এসে প্রশ্ন করেন, ‘এত সকালে দোকান খোলা কেন?’ এরপর কোনো উত্তর শোনার আগেই মারধর শুরু করেন। ইসলাম উদ্দিন নিজেকে একজন গেজেটভুক্ত জুলাইযোদ্ধা হিসেবে পরিচয় দিলে এসআই জসিম ক্ষিপ্ত হয়ে বলেন, ‘তুই যোদ্ধা! তোরা তো পুলিশ মারছিস, ফাঁড়ি জ্বালাইছিস।’ এরপর কিল, ঘুষি ও থাপ্পড় মারতে মারতে তাকে গাড়িতে তোলার চেষ্টা করেন।


পরিস্থিতি গুরুতর হয়ে উঠলে সঙ্গে থাকা এক কনস্টেবলের হস্তক্ষেপে পুলিশ সদস্যরা ইসলাম উদ্দিনকে রাস্তায় ফেলে রেখে চলে যায়। বর্তমানে তিনি সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।


ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়েছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন, সিলেট জেলা কমিটি,  জুলাইযোদ্ধা ও তাদের সহযোদ্ধারা। তারা অবিলম্বে এসআই জসিম ও সংশ্লিষ্ট কনস্টেবলকে গ্রেফতার করে সর্বোচ্চ শাস্তির দাবি জানিয়েছেন।

]]>
সম্পূর্ণ পড়ুন