সিলেটের একমাত্র ভিআইপি সড়ক আম্বরখানা পয়েন্টের বেহাল অবস্থায় জনদুর্ভোগ চরমে উঠেছে। ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে নগরীতে প্রবেশের এই সড়কটি সড়ক ও জনপথ বিভাগের মালিকানাধীন। কিন্তু সড়কটি এখন খানাখন্দে ভরা, ভেঙে চৌচির হয়ে পড়েছে। ব্যস্ততম এই সড়কের এমন করুণ অবস্থায় ক্ষোভে ফুঁসছে নগরবাসী।
স্থানীয়দের অভিযোগ, খানাখন্দে ভরা সড়কগুলো এখন চলাচলের অনুপোযোগী হয়ে পড়েছে। রোগীবাহী অ্যাম্বুলেন্স কিংবা দূরপাল্লার যাত্রীবাহী বাস চলাচল করতে পারছে না নির্বিঘ্নে। প্রতিদিন এই সড়কে যানজট ও দুর্ঘটনার ঝুঁকি বেড়েই চলেছে।
সিলেট নগরের প্রধান সড়কের প্রায় ৭০ শতাংশ জাতীয় মহাসড়কের সঙ্গে সংযুক্ত। দীর্ঘদিন ধরে মালিকানা জটিলতার কারণে এসব সড়কের সংস্কার ও রক্ষণাবেক্ষণ কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে বলে জানান সংশ্লিষ্টরা।
সিলেট সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী বলেন, ‘দীর্ঘদিন চেষ্টা করেও সড়ক ও জনপথ বিভাগের ৫৬ কিলোমিটার সড়ক সিটির আওতায় আনা সম্ভব হয়নি। এই জটিলতার কারণেই নগরের অনেক গুরুত্বপূর্ণ সড়ক সংস্কার করা যাচ্ছে না।’
আরও পড়ুন: ৬ বছরেও সংস্কার হয়নি ব্রিজ, জামালপুরের ৪০ গ্রামের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন
সিলেট সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ রেজাই রাফিন বলেন, ‘নগরবাসীর দুর্ভোগ লাঘবে নগরের ভেতরে ২২ কিলোমিটার সড়ক সড়ক ও জনপথ বিভাগ থেকে অনাপত্তিপত্র (এনওসি) নিয়ে সিটি করপোরেশন সংস্কার করেছিলো। তবে এনওসি নিয়ে সংস্কার একবারের জন্যই হয়ে থাকে। এ নিয়ে অডিটসহ নানা প্রশাসনিক জটিলতার মধ্যে পড়তে হয় সিটি করপোরেশনকে।’
অন্যদিকে, সড়ক ও জনপথ বিভাগের সিলেটের নির্বাহী প্রকৌশলী আমির হোসেন বলেন, ‘নগরের মধ্য দিয়ে বিস্তৃত ৫৬ কিলোমিটার সড়কের মালিকানা হস্তান্তরের বিষয় নিয়ে সম্প্রতি একাধিকবার সভা হয়েছে। শিগগিরই এ বিষয়ে সিদ্ধান্তে আসার সম্ভাবনা রয়েছে।’
সিলেট জিরো পয়েন্ট থেকে সিলেট-ঢাকা, সিলেট-তামাবিল, সিলেট-সুনামগঞ্জ এবং সিলেট-বিমানবন্দর সড়ক— মোট ৫৬ কিলোমিটার সড়ক বর্তমানে সড়ক ও জনপথ বিভাগের মালিকানাধীন। এসব সড়কের মালিকানা ও রক্ষণাবেক্ষণ দায়িত্ব নির্ধারণ না হওয়ায় নগরবাসীর দুর্ভোগ দিনদিন আরও বাড়ছে।