পেন্টাগন মুখপাত্র মেজর জেনারেল প্যাট রাইডার বৃহস্পতিবার বলেন, আইএসবিরোধী অভিযানে সহায়তা করার জন্য দীর্ঘমেয়াদে সিরিয়ায় মোতায়েন করা ৯০০ সেনা ছাড়াও আরও ১ হাজার ১০০ জন সেনা ‘অস্থায়ী’ ভিত্তিতে পাঠানো হয়েছে।
সেনারা প্রধানত মার্কিন সেনাবাহিনীর প্রচলিত এবং বিশেষ বাহিনী নিয়ে গঠিত। সিরিয়ায় এসব সেনা কবে মোতায়েন করা হয়েছে, তার জবাব দিয়ে রাইডার বলেন, আসাদ সরকারের পতনের আগে অতিরিক্ত সেনা মোতায়েন করা হয়। সেনারা কতদিন থাকবে- সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নে রাইডার বলেন, ‘কমপক্ষে কয়েক মাস।’
গত মাসের শেষের দিকে জঙ্গি গোষ্ঠী আল কায়েদা ও আইএস থেকে উদ্ভূত হায়াত তাহরির আল-শাম (এইচটিএস) ও আরও কিছু বিদ্রোহী গোষ্ঠী সিরিয়ার ইদলিব ও আলেপ্পো শহরে হঠাৎ বড় ধরনের হামলা শুরু করে।
আরও পড়ুন: পাকিস্তানের ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচি নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের উদ্বেগ
মাত্র ১২ দিনের ঝটিকা আক্রমণে গত রোববার (৮ ডিসেম্বর) রাজধানী দামেস্কের নিয়ন্ত্রণ নেয় তারা। বিমানে করে দেশ ছেড়ে পালান ২৪ বছর ধরে ক্ষমতায় থাকা প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদ।
হায়াত তাহরির আল শাম যুক্তরাষ্ট্র ঘোষিত সন্ত্রাসী সংগঠনগুলোর একটি। এমনকি গ্রুপটির প্রধান আহমেদ আল শারা যিনি আবু মোহাম্মদ জোলানি নামেই বেশি পরিচিত, তার মাথার মূল্য ১ কোটি ডলার নির্ধারণ করেছিল যুক্তরাষ্ট্র। অথচ আসাদের পতনের প্রায় সঙ্গে সঙ্গেই ওয়াশিংটন জোলানির সঙ্গে যোগাযোগ করে।
আসাদের দেশত্যাগের পর নজর এখন ক্ষমতা হস্তান্তরের দিকে। এরই মধ্যে দেশটিতে অন্তর্বর্তী সরকার গঠনে প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। মোহাম্মদ আল বশির নামে এক প্রকৌশলীকে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধানমন্ত্রী করা হয়েছে। আল বশির সিরিয়ার ইদলিব প্রদেশের সিরিয়ান স্যালভেশন গভর্নমেন্টের প্রধানমন্ত্রী ছিলেন।
আরও পড়ুন: সিরিয়া / ন্যায্য বিচার ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করতে চায় নতুন প্রশাসন
এইচটিএস নেতা আহমেদ আল সরা আহমেদ আল-শারা ওরফে আবু মুহাম্মদ আল-জোলানি বিভিন্ন দেশ বিশেষ করে পশ্চিমা বিশ্বের সঙ্গে কূটনৈতিক যোগযোগ শুরু করেছেন। বৃহস্পতিবার (১৯ ডিসেম্বের) বিবিসিকে এক সাক্ষাৎকারে তিনি সিরিয়ার ওপর আরোপিত নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়ার আহ্বান জানান।
]]>