জর্ডানে সিরিয়া নিয়ে মধ্যপ্রাচ্য, তুরস্ক ও পশ্চিমা কূটনীতিকদের সঙ্গে সংলাপে যোগ দেয়ার পরে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন।
মার্কিন প্রশাসন বিদ্রোহী গোষ্ঠীকে তাদের কার্যক্রম এবং শাসন ব্যবস্থার বিষয়ে স্পষ্ট বার্তা দিয়েছে বলে জানান তিনি। গোষ্ঠীটিকে একসময় আল-কায়েদার সঙ্গে যুক্ত থাকায় সন্ত্রাসী গোষ্ঠী হিসেবে চিহ্নিত করে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছিল যুক্তরাষ্ট্র।
সাংবাদিকদের ব্লিঙ্কেন বলেন,
আমরা এইচটিএস এবং অন্যান্য পক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করেছি। আমরা আমাদের নীতিগুলো জানিয়েছি , যা চলমান সহায়তার জন্য প্রযোজ্য। এই নীতিগুলো এখন অঞ্চলজুড়ে এবং এর বাইরেও গ্রহণ করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: সিরিয়া নিয়ে আরব কূটনীতিকদের সঙ্গে পশিচমাদের বৈঠক, উদ্দেশ্য কী?
সিরিয়ায় ক্ষমতা দখলকারীদের সঙ্গে যোগাযোগের কথা এমন সময়ে জানালেন, যখন প্রায় ১২ বছর পর দামেস্কে তুরস্কের দূতাবাস কার্যক্রম শুরু করেছে। ২০১১ সালে শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভকারীদের ওপর সরকারের সহিংসতার জেরে দূতাবাসটি তার কার্যক্রম বন্ধ করে দেয়।
এদিকে, যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং জাতিসংঘের প্রতিনিধিরা জর্ডানে আরব পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন সিরিয়ার ভবিষ্যৎ নিয়ে। এতে উপস্থিত আরব পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা সিরিয়ার অভ্যন্তরীণ পরিস্থিতি এবং নতুন প্রশাসনের দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে আলোচনা করেন। তাদের লক্ষ্য, দেশটিতে একটি ঐক্যবদ্ধ এবং প্রতিনিধিত্বমূলক সরকার গঠন করা।
আরও পড়ুন: রাশিয়ায় পালিয়ে যাওয়া আসাদ কি বিচারের মুখোমুখি হবেন?
এছাড়া, সিরিয়ার মধ্য দিয়ে হিজবুল্লাহর সামরিক সরবরাহ ব্যবস্থা বাধাগ্রস্ত হচ্ছে বলে জানিয়েছেন হিজবুল্লাহ প্রধান নাইম কাসেম। বাশার আল-আসাদের পতনের পর এই রুটটি বন্ধ হয়ে গেছে বলে জানান তিনি।
তবে সংগঠনটি নতুন পথ খোঁজার পরিকল্পনা করছে। বর্তমান পরিস্থিতিতে সিরিয়ার নতুন নেতৃত্বের সঙ্গে ভবিষ্যতে সম্পর্ক পুনর্গঠনের বিষয়েও প্রত্যাশা করছেন তারা।
]]>