সিরিয়ায় দুই পক্ষের সংঘর্ষে নিহত ১৩

২ সপ্তাহ আগে
সিরিয়ার রাজধানী দামেস্কে দুই পক্ষের সংঘর্ষে অন্তত ১৩ জন নিহত হয়েছেন। মঙ্গলবার (২৯ এপ্রিল) উদ্ধারকর্মী ও নিরাপত্তা সূত্রের বরাত দিয়ে রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়, দ্রুজ সম্প্রদায়ের এক ব্যক্তির রেকর্ড প্রচারকে কেন্দ্র করে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে ।

প্রতিবেদনে বলা হয়, রেকর্ডে দ্রুজ সম্প্রদায়ের ওই ব্যক্তি নবী হযরত মুহাম্মদ (সা.) কে অবমাননা করা হয়েছে এমন অভিযোগে সুন্নি মুসলিমদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। এক পর্যায়ে তা সংঘর্ষে রূপ নিলে হতাহতের এ ঘটনা ঘটে।

 

গত বছরের ডিসেম্বরে সিরিয়ার সাবেক প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদ পালিয়ে যাওয়ার পর থেকে দেশটির সংখ্যালঘু সম্প্রদায় এক প্রকার ভয়ের মধ্যে রয়েছে।

 

গত মার্চে আসাদপন্থিদের হামলার প্রতিশোধ হিসেবে শত শত আলাওয়ি সম্প্রদায়ের মানুষকে হত্যার পর সংখ্যালঘুদের মধ্যে ভয় আরও তীব্র হয়ে ওঠে।

 

আরও পড়ুন: সিরিয়ার ক্ষমতাচ্যুত প্রেসিডেন্টকে বাঁচাতে বিমান পাঠায় ইরান, রুখে দেয় ইসরাইল!

 

নিরাপত্তা সূত্র জানায়, মালিহা শহর ও অন্যান্য সুন্নি অধ্যুষিত এলাকা থেকে বন্দুকধারীরা এসে প্রধানত দ্রুজ জনগোষ্ঠী অধ্যুষিত দামেস্কের দক্ষিণ-পূর্বে অবস্থিত জারামানা শহরে জড়ো হওয়ার পর দুই সম্প্রদায়ের মধ্যে সোমবার রাতে সংঘর্ষ শুরু হয়।

 

স্থানীয় উদ্ধারকারীরা জানায়, উভয় পক্ষের মধ্যে বন্দুক হামলায় ১৩ জন নিহত হয়। এ ঘটনায় সিরিয়ান জেনারেল সিকিউরিটি সার্ভিসের দুই সদস্যও নিহত হয়েছেন।

 

সিরিয়ার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মুস্তফা আল আবদো বলেন, সাবেক বিদ্রোহীদের নিয়ে জেনারেল সিকিউরিটি সার্ভিস গঠন করা হয়েছে।

 

আরও পড়ুন: ‘শর্তসাপেক্ষে’ ইসরাইলের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করার ইঙ্গিত সিরিয়ার

 

সশস্ত্র বন্দুকধারীদের হামলা চালানোর বিষয়টি অস্বীকার করে তিনি বলেন, অডিও রেকর্ডকে কেন্দ্র করে কয়েকটি বেসামরিক জনগোষ্ঠী প্রতিবাদ মিছিল করে। আর সেই মিছিলেই দ্রুজ গোষ্ঠীর দিক থেকে গুলি ছোড়া হয়।

 

এক বিবৃতিতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, অডিও রেকর্ডিংটির উৎস খতিয়ে দেখা হচ্ছে এবং পরিস্থিতি শান্ত রাখার আহ্বান জানানো হয়েছে।

]]>
সম্পূর্ণ পড়ুন