সিরিয়ায় আসাদ সরকারের পতন নিয়ে কী বললেন ট্রুডো?

৩ সপ্তাহ আগে
বিদ্রোহীদের হাতে সিরিয়ায় বাশার আল-আসাদ সরকারের পতন হয়েছে, যা নিয়ে শোরগোল পড়ে গেছে গোটা বিশ্বে। রাজধানী দামেস্ক ছেড়ে পালিয়ে স্বৈরশাসক আসাদ রাশিয়ায় পরিবারসহ আশ্রয় নিয়েছেন বলে জানা গেছে। এবার আসাদ সরকারের পতনের বিষয়টি নিয়ে মুখ খুলেছেন কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো।

সামাজিক মাধ্যম এক্সে ট্রুডো বলেন, আসাদের একনায়কত্বের পতনের ফলে কয়েক দশকের নির্মম নিপীড়নের অবসান ঘটেছে। সিরিয়ায় সন্ত্রাসবাদ এবং দুর্ভোগমুক্ত একটি নতুন অধ্যায় এখানে শুরু হতে পারে।

 

কানাডা এই পরিবর্তন ঘনিষ্ঠভাবে পর্যবেক্ষণ করছে জানিয়ে তিনি আরও বলেন, আমরা মানবাধিকারের জন্য শৃঙ্খলা, স্থিতিশীলতা ও সম্মানে নিশ্চিতের আহ্বান জানাই।

 

The fall of Assad's dictatorship ends decades of brutal oppression. A new chapter for Syria can begin here — one free of terrorism and suffering for the Syrian people.

Canada is monitoring this transition closely. We urge order, stability, and respect for human rights.

— Justin Trudeau (@JustinTrudeau) December 8, 2024

 

এর আগে রোববার বিদ্রোহীরা সিরিয়ার রাজধানী দামেস্ক দখলে নেয়ার ঘোষণা দেয়ার পর দেশ ছাড়েন প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদ। প্রেসিডেন্টের বাসভবন ত্যাগ করে দামেস্ক আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে একটি বিমানে করে পালিয়ে যান তিনি। সবশেষ তথ্য অনুযায়ী, সিরিয়ার ক্ষমতাচ্যুত প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদ তার পরিবারের সদস্যরা মস্কোয় পৌঁছেছেন। মানবিক দিক বিবেচনা করে রাশিয়া তাদের রাজনৈতিক আশ্রয় দিয়েছে।

 

আরও পড়ুন: রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমের প্রতিবেদন / আসাদ ও তার পরিবারকে আশ্রয় দিলো রাশিয়া

 

সিরিয়ার চলমান অস্থিরতা নিয়ে বিশ্বজুড়ে শুরু হয়েছে ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনা। বিশ্বনেতাদের কেউ উচ্ছ্বাস প্রকাশ করছেন, কেউ উদ্বিগ্ন বিদ্রোহী গোষ্ঠীর হাতে ক্ষমতা চলে যাওয়ার আশঙ্কায়। সিরিয়ার চলমান রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা নিয়ে মন্তব্য করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। তিনি ও তার দল সিরিয়ার পরিস্থিতি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছেন বলে জানিয়েছেন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। এ বিষয়ে আঞ্চলিক নেতাদের সঙ্গেও যোগাযোগ রাখছেন বলে জানান বাইডেন।

 

মুখ খুলেছেন নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পও। নিজের সামাজিক মাধ্যম প্ল্যাটফর্ম ট্রুথ সোশ্যালে ট্রাম্প বলেন, ‘আসাদ চলে গেছেন। তার রক্ষক, রাশিয়া, ভ্লাদিমির পুতিনের নেতৃত্বে তাকে আর রক্ষা করতে আগ্রহী ছিল না।’

 

এদিকে, ডেমোক্র্যাট কংগ্রেসম্যান ব্রেনডান বয়েল সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের একটি পোস্টে আনন্দ প্রকাশ করে বলেন, আসাদ সরকারকে উৎখাতের বিষয়টি সিরিয়ার মানুষের জন্য নিজেদের ভবিষ্যৎ নির্ধারণের বড় সুযোগ। আরেক মার্কিন কর্মকর্তা জানান, আসাদ সরকারের পতনের মাধ্যমে ইরানের কুচক্রের অবসান হতে যাচ্ছে।

 

আরও পড়ুন: সিরিয়ার চলমান পরিস্থিতি নিয়ে কী বলছেন বিশ্বনেতারা?

 

ভৌগোলিক দিক দিয়ে দূরত্ব থাকলেও সিরিয়ার নিয়ন্ত্রণ বিদ্রোহী গোষ্ঠীর হাতে যাওয়ায় উচ্ছ্বসিত আফগানিস্তানের ক্ষমতাসীন সশস্ত্র গোষ্ঠী তালেবান। সিরিয়ার বিদ্রোহীদের প্রতি তাদের পূর্ণ সমর্থনের কথাও জানিয়েছে তারা। তালেবান সরকারের মতো সিরিয়ার বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলোও দেশটিতে শরিয়া আইন জারি করবে বলে প্রত্যাশা তালেবানের এক সিরিয়ার নেতার।

 

তবে জঙ্গিবাদের চরম মূল্য দিয়েছে ইরাক- এমনটাই জানান দেশটির রাষ্ট্রীয় কর্মকর্তারা। সিরিয়ায় জঙ্গিবাদ ছড়িয়ে পড়লে আবারও ইরাক বিপদে পড়বে বলেও শঙ্কা প্রকাশ করেন তারা। ইরাক ইসলামিক রেজিস্ট্যান্স গোষ্ঠীর প্রতিক্রিয়ার অপেক্ষায় আছে বলেও মন্তব্য করেন কর্মকর্তারা।

]]>
সম্পূর্ণ পড়ুন