দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে বলেছে, ইসরাইলি বিমান হামলা ‘সিরীয় আরব প্রজাতন্ত্রের সার্বভৌমত্বের স্পষ্ট লঙ্ঘন।’
সরকারি সিরিয়ান আরব নিউজ এজেন্সি (সানা) জানায়, মন্ত্রণালয় ইসরাইলি হামলাকে সিরিয়ার নিরাপত্তা এবং আঞ্চলিক স্থিতিশীলতার জন্য সরাসরি হুমকি হিসেবে বর্ণনা করেছে।
আরও পড়ুন:‘শেষ সতর্কবার্তা’ / হামাসের বিরুদ্ধে ‘হারিকেন’ হামলার হুমকি ইসরাইলের
তবে হোমস এবং লাতাকিয়ায় হামলার পরিমাণ বা হামলার পর সম্ভাব্য হতাহতের বিষয়ে বিস্তারিত কিছু জানায়নি সানা।
এদিকে, যুক্তরাজ্য-ভিত্তিক সিরিয়ান অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটস জানিয়েছে, ইসরাইলি যুদ্ধবিমানগুলো হোমসে একটি সিরিয়ান বিমান ঘাঁটিতে হামলা করেছে, যেখানে স্থানীয়রা বিশাল বিস্ফোরণের শব্দ শুনতে পেয়েছেন, যদিও প্রাথমিকভাবে হতাহতের কোনো খবর পাওয়া যায়নি।
লাতাকিয়ায়, ইসরাইলি যুদ্ধবিমানগুলো একটি সামরিক ব্যারাকে আক্রমণ করে এবং স্থানীয়রা জানান হামলার ঘটনাস্থলে অ্যাম্বুলেন্স ছুটে যাওয়ার শব্দ শোনা গেছে। যদিও সেই হামলায়ও হতাহতের কোনো প্রাথমিক খবর পাওয়া যায়নি।
সিরিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বিবৃতিতে আরও বলেছে, সিরিয়ার উপর ইসরাইলের অব্যাহত এবং বিনা উস্কানিতে আক্রমণ সিরিয়ার ভূখণ্ডের বিরুদ্ধে ইসরাইলের ধারাবাহিক আক্রমণাত্মক পদক্ষেপের অংশ। সরকার তার সার্বভৌমত্বকে ক্ষুণ্ন করার বা জাতীয় নিরাপত্তার ক্ষতি করার যেকোনো প্রচেষ্টা প্রত্যাখ্যান করে।
সানা জানায়, মন্ত্রণালয় আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়, বিশেষ করে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদকে ইসরাইলি হামলা বন্ধে স্পষ্ট ও দৃঢ় অবস্থান গ্রহণের আহ্বান জানিয়েছে।
আরও পড়ুন:অধিকৃত জেরুজালেমে গুলিতে নিহত ৫, ঘটনাস্থলে যাচ্ছে বিশাল বাহিনী!
এদিকে, যুক্তরাজ্য-ভিত্তিক সিরিয়ান অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটস এর মতে, ইসরাইল এই বছর এ পর্যন্ত প্রায় ১০০টি আক্রমণ চালিয়েছে, যার মধ্যে ৮৬টি আকাশপথ থেকে এবং ১১টি ইসরাইলি স্থলবাহিনীর আক্রমণ রয়েছে। যার ফলে দেশের প্রায় ১৩৫টি স্থান ধ্বংস হয়েছে এবং ৬১ জন নিহত হয়েছেন।