বিদ্রোহীদের মাত্র ১২ দিনের ঝড়ো হামলায় পতন হলো আসাদ সরকারের ২৪ বছরের শাসনামলের। বিদ্রোহী গোষ্ঠী তাহরির আল শামের সামনে ধোপে টিকলো না বাশার আল-আসাদের সেনাবহর। অপ্রতিরোধ্য এই বিদ্রোহী গোষ্ঠীর দলনেতা আবু মোহাম্মদ আল-জোলানি এই বিজয়কে সিরিয়াবাসীকে উৎসর্গ করেছেন।
তবে, এককালের আল-কায়দার সদস্য জোলানির ওপর এখনও জারি রয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের গ্রেফতারি পরোয়ানা। এমনকি তাকে খুঁজে দিতে পারলে ১ কোটি ডলারের যে পুরস্কার ঘোষণা করা হয়েছিল, তা-ও এখনও বহাল রয়েছে।
আরও পড়ুন: আসাদের পতনের পর প্রথম ভাষণে যা বললেন বিদ্রোহী নেতা জোলানি
দামেস্কের পরিস্থিতিতে আচমকা পরিবর্তন সিরিয়া বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান নিয়ে বিভ্রান্তিতে ফেলেছে বিশ্ববাসীকে। আসাদ সরকারের পতনের পরপরই সিরিয়ায় বেশ কয়েকটি অস্ত্রাগারে হামলা চালানোর কথা জানায় যুক্তরাষ্ট্র। তাদের দাবি, আইএসের হাতে যাতে অস্ত্র না পৌঁছায়, তাই এই পদক্ষেপ নিয়েছেন তারা।
একইসঙ্গে, সিরিয়ায় সরকার ব্যবস্থার পরিবর্তনের সঙ্গে খাপ খাইয়ে নিতে প্রতিবেশী রাষ্ট্রগুলোকে সাহায্য করার কথা জানিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।
তবে সিরিয়ার ভবিষ্যৎ গড়ার দায়িত্ব সঠিক মানুষের হাতে দেয়ার বিষয়েও গুরুত্বারোপ করেন তিনি। তাহরির আল শাম এবং জোলানির দিকে ইঙ্গিত করে তিনি বলেন, বর্তমান পরিস্থিতিতে যারা দেশটির নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে তারা নিজেরাই বিভিন্ন সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত। যদিও, তারা এখন অন্য বুলি আওড়াচ্ছে।
আরও পড়ুন: সিরিয়ায় সরকার পতনের লড়াইয়ে নেতৃত্ব দেয়া কে এই জোলানি?
এ অবস্থায়, শাসনভার গ্রহণের পর তারা কাজেকর্মেও প্রতিশ্রুতি পালন করে কিনা সে বিষয়ে নজর রাখার কথা জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। এমনকি, দেশটিতে যাতে কোনো সন্ত্রাসী গোষ্ঠী মাথাচাড়া দিয়ে না উঠে সেদিকেও কড়া নজরদারির কথা জানিয়েছেন বাইডেন।
এছাড়া পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে সিরিয়ায় স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনতে প্রতিবেশী দেশগুলোকে সঙ্গে নিয়ে দামেস্কের দিকে সাহায্যের হাত বাড়ানোর কথা জানিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।