রোববার (৮ ডিসেম্বর) তার ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে মোবারকবাদ জানিয়ে বলেন, হে আমাদের সিরিয়ান বন্ধুরা, আপনাদের অভিনন্দন। অভিনন্দন পৃথিবীর প্রত্যেক নিপীড়িত জনতার প্রতি। সমস্ত প্রশংসা আল্লাহ তাআলার, যিনি প্রত্যেক মজলুমের অন্তর প্রশান্ত করেছেন।’
এরপর আরেকটি পোস্টে তিনি বলেন, সুপ্রভাত! সমস্ত প্রশংসা আল্লাহ তাআলার যিনি সিরীয় ভাইদেরকে অন্ধকার থেকে আলোতে নিয়ে এসেছেন। অভিনন্দন, প্রিয় সিরীয় ভাইয়েরা!’
সবশেষ তিনি কোরআনের একটি আয়াত উল্লেখ করে পোস্ট দেন। তিনি লিখেন, نَصۡرٌ مِّنَ اللّٰهِ وَ فَتۡحٌ قَرِیۡبٌ অর্থ: (আর তিনি তোমাদেরকে দান করবেন বাঞ্ছিত আরো একটি অনুগ্রহ) আল্লাহর সাহায্য ও আসন্ন বিজয়। তারপর বলেন, ‘আল্লাহ তাআলা সিরীয় ভাইদেরকে এই জয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন।’
আরও পড়ুন:
সিরিয়ার যে শহরে ঈসা (আ.) আসবেন ও দাজ্জালকে হত্যা করবেন
সিরিয়া নিয়ে যে ভবিষ্যদ্বাণী করেছিলেন নবীজি
প্রসঙ্গত, বাশার আল-আসাদ ২০০০ সাল থেকে সিরিয়ার ক্ষমতায় ছিলেন। এর আগে তার বাবা হাফেজ আল-আসাদ ২৯ বছর দেশটি শাসন করেছিলেন।
তবে ২০১১ সালে প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদের বিরুদ্ধে ব্যাপক বিক্ষোভ শুরু হয়। ওই সময় বিক্ষোভকারীদের দমনে কঠোর পন্থা অবলম্বন করেন তিনি। এরপর বিক্ষোভকারীরা সশস্ত্র বিদ্রোহ শুরু করেন। এতে করে দেশটিতে শুরু হয় গৃহযুদ্ধ।
যদিও ২০১৫ সালে বাশার আল আসাদকে বাঁচাতে এগিয়ে আসে রাশিয়া। সে বছর সিরিয়ার বিভিন্ন অঞ্চল লক্ষ্য করে ব্যাপক বিমান হামলা চালায় তারা। এরপর বিদ্রোহীরা পিছু হটতে বাধ্য হয়।
কিন্তু সাম্প্রতিক সময়ে লেবাননের শিয়া সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহ দুর্বল হয়ে যাওয়ায় এবং ইউক্রেন নিয়ে রাশিয়ার ব্যস্ত থাকার সুযোগে যোদ্ধারা আবারও তৎপর হয়ে উঠে। এরই একপর্যায়ে সম্প্রতি তারা হামলা শুরু করে এবং এই হামলার মুখে নাটকীয়ভাবে দামেস্ক ছেড়ে পালালেন স্বৈরশাসক প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদ।
]]>