রাশিয়ান এক কূটনীতিকের বরাতে বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
জাতিসংঘে রাশিয়ার উপ-স্থায়ী প্রতিনিধি দিমিত্রি পলিয়ানস্কি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম টেলিগ্রামে লেখেন, সিরিয়া ইস্যুতে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে বৈঠকের আহ্বান জানানো হয়েছে। সোমবারই বৈঠকটি হবে বলে আশা করছি।
তিনি আরও লেখেন, আসাদ সরকারের পতনের পর সিরিয়ার ‘পরিণতি’ কী হবে। এছাড়া রাশিয়া এবং মধ্যপ্রাচ্যের জন্য কী অপক্ষো করছে তা স্পষ্ট নয়।
আরও পড়ুন: জর্ডান-লেবানন থেকে দেশে ফিরছেন সিরিয়ানরা
রাশিয়ার এই কূটনৈতিক বলেন, বিশেষ করে গোলান হাইটসে জাতিসংঘের টহলযুক্ত ডিমিলিটারাইজড জোন ইসরাইল নিয়ন্ত্রণে নেয়ার পর উদ্ভূত পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করা গুরুত্বপূর্ণ।
কূটনৈতিক সূত্রের বরাত দিয়ে এএফপি বলছে, সিরিয়া ইস্যুতে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে বৈঠকটি হবে। তবে কখন হবে তা এখনো নিশ্চিত নয়।
এদিকে রাজধানী দামেস্ক ছেড়ে পালিয়ে রাশিয়ায় আশ্রয় নিয়েছেন সিরিয়ার স্বৈরশ্বাসক বাশার আল-আসাদ। রাজনৈতিক আশ্রয়ে পরিবারের সদস্যরাসহ তিনি মস্কোয় অবস্থান করছেন।
রাশিয়ার বার্তাসংস্থা তাস ও রিয়া নভস্তির বরাত দিয়ে রয়টার্সের বলা হয়েছে, সিরিয়ার ক্ষমতাচ্যুত প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদ ও তার পরিবারের সদস্যরা মস্কোয় পৌঁছেছেন। মানবিক দিক বিবেচনা করে রাশিয়া তাদের রাজনৈতিক আশ্রয় দিয়েছে।
আরও পড়ুন: সিরিয়ায় আসাদ সরকারের পতন নিয়ে কী বললেন ট্রুডো?
এর আগে রোববার বিদ্রোহীরা সিরিয়ার রাজধানী দামেস্ক দখলে নেয়ার ঘোষণা দেয়ার পর দেশ ছাড়েন প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদ। প্রেসিডেন্টের বাসভবন ত্যাগ করে দামেস্ক আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে একটি বিমানে করে পালিয়ে যান তিনি।
উল্লেখ্য, আসাদ তার বাবা হাফেজ আল আসাদের মৃত্যুর পর ২০০০ সালে ক্ষমতায় বসেন। তার বাবাও ২৯ বছর ধরে সিরিয়া শাসন করেছেন। তিনিও অনেকটা তার ছেলে বাশার আল-আসাদের মতোই। দমনপীড়ন চালিয়ে জোর করে ক্ষমতা আঁকড়ে ছিলেন।