এরইমধ্যে বিদায়ী মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের প্রশাসন হায়াত তাহরির আল-শাম (এইচটিএস)-সহ বিজয়ী বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলোর সঙ্গে যোগাযোগ করতে শুরু করেছে।
বাইডেন এই সপ্তাহে সেখানে পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেনকে পাঠিয়েছেন। যাতে সিরিয়ার রাজনৈতিক পট পরিবর্তনে নেয়া মার্কিন নীতির বিষয়ে সমর্থন আদায় করতে পারেন। ওয়াশিংটন মনে করছে, সিরিয়ার এই ক্রান্তিকালে তাদের নীতি পথ দেখাতে পারবে।
আরও পড়ুন:রাশিয়ায় পালিয়ে যাওয়া আসাদ কি বিচারের মুখোমুখি হবেন?
এদিকে সিরিয়ার উত্তরের প্রতিবেশী তুরস্ক আসাদকে সরাতে কয়েক বছর ধরে বিরোধীদের সমর্থন করে আসছে। তারাও চান দামেস্ককে তাদের প্রভাব বলয়ে নিয়ে আসতে। শুক্রবার তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাকান ফিদান বলেছেন, দামেস্কে তার দেশের দূতাবাস শনিবার থেকে কাজ শুরু করবে।
সিরিয়ার আরেক প্রতিবেশী জর্ডানের আকাবায় শনিবার ওই বৈঠক হয়। আসাদের প্রধান সমর্থক রাশিয়া ও ইরানকে সেখানে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি।
এই গোলটেবিল বৈঠকে ব্লিঙ্কেন, জাতিসংঘের বিশেষ দূত গেইর পেডারসন, ইইউর কাজা ক্যালাস, তুরস্কের ফিদান এবং জর্ডান, সৌদি আরব, ইরাক, লেবানন, মিশর, সংযুক্ত আরব আমিরাত, বাহরাইন ও কাতারের পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা ছিলেন। সেখানে সিরিয়ার কোনো প্রতিনিধি ছিলেন না।
এর আগে আরব কূটনীতিকরা আলাদাভাবে বৈঠক করেন এবং একটি শান্তিপূর্ণ ও অন্তর্ভুক্তিমূলক রাজনৈতিক উত্তরণের আহ্বান জানিয়ে একটি বিবৃতি দেন। বিবৃতিতে সিরিয়ায় নির্বাচন আয়োজন করা এবং একটি নতুন সংবিধানের কথা বলা হয়েছে।
আরও পড়ুন:সামনে এলো ইরানের ড্রোনবাহী রণতরীর ছবি
আরব পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা বলেছেন, তারা সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াই করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। যাকে তারা সিরিয়া, মধ্যপ্রাচ্য এবং বিশ্বের নিরাপত্তার জন্য হুমকি বলে অভিহিত করেন।
]]>