সোমবার (১ সেপ্টেম্বর) সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টসে হেরে আগে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুটা ভালো করতে পারেনি ডাচম্যানরা। স্কোরবোর্ডে ১৪ রান যোগ হতেই ম্যাক্স ও’দউদ-এর উইকেট হারায় সফরকারীরা। নাসুম আহমেদের বলে তাওহীদ হৃদয়ের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরার আগে ১০ বলে ৮ রান করেন এই ওপেনার। পরের বলে তেজা নিদামানুরু দেন পারভেজ হোসেন ইমনকে ক্যাচ। রানের খাতা খোলার আগেই তিনি ফেরেন সাজঘরে। তবে ডাচ অধিনায়ক স্কট অ্যাডওয়ার্ডস কোনোমতে হ্যাটট্রিক ঠেকান।
পাওয়ার প্লেতেই নেদারল্যান্ডসের ৩ উইকেট তুলে নেন টাইগার বোলাররা। নাসুমের জোড়া শিকার ও তাসকিনের এক উইকেট শিকারে ৬ ওভারে ৩ উইকেট হারিয়ে ৪০ রান তোলে ডাচরা।
আরও পড়ুন: এসএ২০’র নিলামে সাকিব-মোস্তাফিজসহ ১৪ বাংলাদেশি
নতুন ব্যাটাররা থিতু হয়ে ওঠার আগেই আঘাত হানেন তাসকিন। ষষ্ঠ ওভারের তৃতীয় বলে ক্রমে ভয়ঙ্কর হয়ে ওঠা বিক্রমজিৎকে ফেরান তিনি। ১৭ বলে ৪ চারে ২৪ রান করে তানজিম সাকিবের হাতে ক্যাচ দেন বিক্রমজিৎ। সেই ওভারে আরও একটা উইকেট পেতে পারতেন তাসকিন। পরের বলেই ফের ক্যাচ উঠলেও এবার পিছলে পড়ায় তা ধরতে পারেননি সাকিব।
মোস্তাফিজুর রহমান এদিন বোলিংয়ে আসেন নবম ওভারে। আর এসেই পান উইকেটের দেখা। তৃতীয় বলে ফেরান ডাচ অধিনায়ককে। ১১ বলে ৯ রান করে ইমনের হাতে ক্যাচ দিয়েছেন তিনি। আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে ১৪১তম উইকেটের দেখা পেলেন কাটার মাস্টার।
আরও পড়ুন: যুক্তরাষ্ট্রের লিগের বোলার এক ওভারেই খরচ করলেন ৪৩ রান!
দশম ওভারে রান আউটে কাটা পড়েন ক্রোয়েস। সরাসরি থ্রোয়ে তাকে ফেরান সাইফ। এরপর শারিজ আহমেদকে ফেরান তানজিম হাসান সাকিব। ১৭ বলে ১২ রান করা এই ব্যাটার আউট হন লিটনের হাতে ক্যাচ দিয়ে।
সিকান্দার জুলফিকারকে ফেরান মোস্তাফিজ। ৩ বলে ২ রান এই ব্যাটারকে সরাসরি বোল্ড করেন বাঁহাতি এই পেসার। কাইল ক্লেইন ৭ বলে ৪ ও পল ফন মিকেরেন করেন ৭ বলে ৩ রান। একপ্রান্ত আগলে রেখে একাই দলকে টেনেছেন ৯ নম্বরে ব্যাট করতে নামা আরিয়ান দত্ত। শেষদিকে ২৪ বলে ইনিংসের সর্বোচ্চ ৩০ রান আসে তার ব্যাট থেকে।
বাংলাদেশের হয়ে নাসুম আহমেদ নেন ৩ টি, তাসকিন ও মোস্তাফিজুর নেন ২টি করে উইকেট। এছাড়া মেহেদি ও তানজিম সাকিব নেন ১টি করে উইকেট।