সিরাজগঞ্জে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে স্ত্রীকে হত্যার দায়ে স্বামীর মৃত্যুদণ্ড

২ দিন আগে
যৌতুকের জন্য স্ত্রীকে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে হত্যার দায়ে সিরাজগঞ্জের তাড়াশে স্বামী মতিউর রহমান খদগীর ওরফে আব্দুল মতিনকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে আদালত। একই সাথে ১ লাখ টাকা অর্থদণ্ড দেয়া হয়েছে।

বুধবার (৩০ জুলাই) দুপুরে সিরাজগঞ্জ নারী ও শিশু নির্যাতন ট্রাইব্যুনাল-২ এর বিচারক বেগম সালমা খাতুন এরায় প্রদান করেন।


আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) অ্যাডভোকেট মাসুদুর রহমান এতথ্য নিশ্চিত করেছেন।


দণ্ডপ্রাপ্ত মতিউর রহমান খদগীর ওরফে আব্দুল মতিন সিরাজগঞ্জের তাড়াশ উপজেলার ভায়াট গ্রামের বাহের আলীর ছেলে।


মামলার অভিযোগ পত্রে উল্লেখ করা হয়েছে, ২০১০ সালের ২ জুন মানিকগঞ্জ জেলার তেরদোনা শোর হেলাচিয়া বাজার এলাকার আব্দুল কাদেরের মেয়ে সাবিনা ইয়াসমিনের সাথে বিয়ে হয় সিরাজগঞ্জের তাড়াশ উপজেলার মতিউর রহমান খদগীর ওরফে আব্দুল মতিনের। বিয়ের কিছুদিন পর থেকে আব্দুল মতিন স্ত্রীর কাছে ২ লাখ টাকা যৌতুক দাবি করে। যৌতুকের টাকা দিতে অস্বীকার করায় সাবিনা ইয়াসমিনকে মাঝ মধ্যে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করতেন আব্দুল মতিন এরই একপর্যায়ে ২০১১ সালের ২৯ সেপ্টেম্বর সকালে তাড়াশ উপজেলার দক্ষিণ মথুরাপুর গ্রামের একটি ধানক্ষেত থেকে সাবিনা ইয়াসমিনের গলায় ওড়না পেঁচানো মরদেহ উদ্ধার করে তাড়াশ থানা পুলিশ।


আরও পড়ুন: নওগাঁয় স্ত্রী হত্যায় স্বামীর মৃত্যুদণ্ড


যৌতুকের ২ লাখ  টাকা আদায় করতে ব্যর্থ স্বামী আব্দুল মতিন স্ত্রী সাবিনা ইয়াসমিনকে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে হত্যা করেছে বলে মামলার অভিযোগ পত্রে  উল্লেখ করা হয়েছে। পরে এঘটনায় নিহতের বড় ভাই আব্দুর রাজ্জাক বাদী হয়ে আব্দুল মতিন সহ ৫ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত ৮ থেকে ১০ জনকে আসামি করে তাড়াশ থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলার তদন্ত শেষে মতিউর রহমান খদগীর ওরফে আব্দুল মতিনকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে পুলিশ। মামলা চলাকালে দীর্ঘ সাক্ষ্য-প্রমাণ শেষে বুধবার আব্দুল মতিনকে মৃত্যুদণ্ড প্রদান করে আদালত।

]]>
সম্পূর্ণ পড়ুন