হায়দরাবাদের রাজীব গান্ধী আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে টসে জিতে আগে সানরাইজার্স হায়দরাবাদকে ব্যাটিংয়ে পাঠায় গুজরাট টাইটান্স। আগে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা ভালো হয়নি হায়দরাবাদের। ৫০ রানের মধ্যেই ৩ উইকেট হারায় তারা। সেখান থেকে দলের হাল ধরেন ক্লাসেন ও রেড্ডি। এই দুইজন মিলে গড়েন ৫০ রানের জুটি।
এই জুটি ভাঙার পর আর কেউ বলার মতো রান করতে পারেনি। শেষ দিকে অধিনায়ক কামিন্স ৯ বলে অপরাজিত ছিলেন ২২ রান। আর হায়দরাবাদের হয়ে সর্বোচ্চ রান আসে রেড্ডির (৩১) ব্যাট থেকে।
গুজরাটের হয়ে আগুনে বোলিং করেছেন মোহাম্মদ সিরাজ। মাত্র ১৭ রান খরচায় ৪ উইকেট শিকার করেছেন তিনি। ২টি করে উইকেট তুলেছেন প্রসিধ কৃষ্ণা এবং সাই কিশোর।
আরও পড়ুন: ‘বনের রাজা আসছে’, বুমরাহর ফেরার খবরে মুম্বাই
জবাব দিতে নেমে দ্রুত ২ উইকেট হারিয়েছে গুজরাট। ৯ বলে ৫ রান করে আউট হন ওপেনার সাই সুদর্শন। ৩ বল খেলে রানের খাতা খোলার আগেই সাজঘরে ফিরেছেন জস বাটলার। চাপের সেই মুহূর্তে দলের হাল ধরেন অধিনায়ক শুবমান গিল এবং চারে নামা ওয়াশিংটন সুন্দর। ঠাণ্ডা মাথার ব্যাটিংয়ে পরিস্থিতি সামাল দিয়েছেন দুজন। কার্যকরী ব্যাটিংয়ে রান তুলেছেন দলের বোর্ডে। পাওয়ার প্লে'র ৬ ওভারে ২ উইকেট হারিয়ে ৪৮ রান তোলে গুজরাট।
পাওয়ার প্লে শেষেও ছুটেছেন গিল এবং সুন্দর। দলের জয়টাও নিশ্চিত হতে থাকে তাতে। দারুণ এক ফিফটি হাঁকিয়েছেন গিল। তবে ফিফটির খুব কাছে গিয়ে থেমেছেন সুন্দর। ২৯ বলে ৪৯ রানের দুর্দান্ত এক ইনিংস খেলে দলের ১০৬ রানের মাথাতে আউট হন তিনি। সুন্দর ফিফটি মিস করলেও গিল তা করেননি। দারুণ সাবলীল ব্যাটিংয়ে ফিফটি ছুঁয়েছেন দলের অধিনায়ক। শেষ দিকে শেরফান রাদারফোর্ডকে সাথে নিয়ে জয়ের পথে দলকে এগিয়ে নিয়ে গেছেন গিল। রাদারফোর্ড-গিলের জুটিতেই নিশ্চিত হয়েছে দলের জয়।
৪৩ বলে ৬১ রানের ইনিংস খেলে অপরাজিত ছিলেন গিল। রাদারফোর্ড অপরাজিত ছিলেন ১৬ বলে ৩৫ রানের ইনিংস খেলে। হায়দরাবাদের হয়ে ২ উইকেট নেন মোহাম্মদ শামি। ১ উইকেট নিয়েছেন প্যাট কামিন্স।