বৃহস্পতিবার (১৫ মে) এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যম জিও নিউজ।
অজয় জানান, ‘সিন্ধু চুক্তিতে যেকোনো পরিবর্তনের জন্য ভারত ও পাকিস্তান উভয়েরই পারস্পরিক সম্মতি প্রয়োজন।’
আরও পড়ুন:যুদ্ধবিরতির মধ্যেই পাল্টাপাল্টি কূটনীতিক বহিষ্কার ভারত-পাকিস্তানের
সাক্ষাৎকারে বঙ্গ বলেন, ‘বিশ্বব্যাংকের দায়িত্ব চুক্তির শুরুতে প্রতিষ্ঠিত প্রশাসনিক কার্যাবলীর মধ্যে সীমাবদ্ধ। সিন্ধু জল চুক্তিতে বিশ্বব্যাংক কোনো সিদ্ধান্ত গ্রহণের ভূমিকা পালন করে না এবং কেবল একটি সহায়তাকারী হিসেবে কাজ করে।’
অজয় আরও বলেন, ‘চুক্তিটি যেভাবে তৈরি করা হয়েছিল, তাতে স্থগিতাদেশের কোনো বিধান নেই। হয় এটি বাতিল করতে হবে, নয়তো অন্য একটি চুক্তি দ্বারা প্রতিস্থাপিত হতে হবে। এর জন্য দুই দেশের একমত হতে হবে।’
এদিকে, বঙ্গ নিশ্চিত করেছেন যে, বিশ্বব্যাংক নতুন কোনো পরিবর্তনের জন্য উভয় সরকারের কাছ থেকে কোনো আনুষ্ঠানিক প্রস্তাব পায়নি।
এদিকে, পাকিস্তান সিন্ধু জল চুক্তি সম্পর্কে ভারতের সাম্প্রতিক যোগাযোগের আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে। পররাষ্ট্র দপ্তরের মতে, চুক্তিটি সম্পূর্ণরূপে কার্যকর এবং উভয় পক্ষের জন্য বাধ্যতামূলক।
বুধবার জারি করা এক বিবৃতিতে, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র শাফকাত আলী খান বলেছেন, পাকিস্তান স্পষ্ট করে দিয়েছে যে চুক্তির যেকোনো লঙ্ঘন অগ্রহণযোগ্য বলে বিবেচিত হবে।
বিশ্বব্যাংকের সহায়তায় নয় বছর ধরে আলোচনার পর, ১৯৬০ সালের সেপ্টেম্বরে তৎকালীন ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহেরু এবং পাকিস্তানের সাবেক প্রেসিডেন্ট আইয়ুব খান এই চুক্তিটি সই করেন।
আরও পড়ুন:সিন্ধু পানি চুক্তি ভাঙার কথা যেন চিন্তাও না করে নয়াদিল্লি: পাক প্রধানমন্ত্রী
২২ এপ্রিল জম্মু ও কাশ্মীরের পহেলগামে বন্দুকধারীর হামলার জেরে ভারত-পাকিস্তান উত্তেজনা শুরু হয়। এরপর একে অপরের বিরুদ্ধে পাল্টাপাল্টি পদক্ষেপের অংশ হিসেবে এই চুক্তি স্থগিত করে ভারত।
সূত্র: জিও নিউজ, দ্য এক্সপ্রেস ট্রিবিউন
]]>