সিনেটের অনুমোদন পেলো ট্রাম্পের কর বিল

৫ দিন আগে
অবশেষে মার্কিন কংগ্রেসের উচ্চকক্ষ সিনেটে অল্প ব্যবধানে পাস হলো প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের কর হ্রাস ও ব্যয় সংক্রান্ত বিল। রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে এ খবর জানানো হয়েছে।

প্রতিবেদন মতে, শনিবার (২৮ জুন) বিলটির উপর ভোটাভুটি হয়। ৫১ জন সিনেটর বিলের পক্ষে ভোট দিয়েছেন। বিপক্ষে পড়েছে ৪৯ ভোট।

 

বিলের প্রাথমিক অনুমোদনকে ‘অসামান্য বিজয়’ বলে অভিহিত করেছেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। শুরু থেকেই বিলটিকে ‘অসাধারণ, ব্যাপক ও সুন্দর’ বলে আসছেন তিনি।

 

এই বিল পুরোদমে কার্যকর হলে অভিবাসন, সীমান্ত নিরাপত্তা ও সামরিক খাত নিয়ে প্রেসিডেন্টের প্রধান অগ্রাধিকারমূলক পরিকল্পনা অর্থায়ন করা সম্ভব হবে বলে মনে করা হচ্ছে।

 

আরও পড়ুন: ইসরাইলে নেতানিয়াহুর সঙ্গে যা করা হচ্ছে তা ভয়াবহ: ট্রাম্প

 

ক্ষমতাসীন দল রিপাবলিকান পার্টির দুজন সিনেটর এবং বিরোধী ডেমোক্র্যাট দলীয় নেতারা এই বিলের তীব্র বিরোধিতা করেছেন। তারা বলেছেন, এই বিলে ব্যাপক কর মওকুফের বিধি রাখা হয়েছে, যা নিম্ন আয়ের মার্কিনিদের জন্য সামাজিক নিরাপত্তার বরাদ্দ মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত করবে এবং ধনীদের স্বার্থ রক্ষা করবে।

 

যুক্তরাষ্ট্রের নির্দলীয় যৌথ কর কমিটির বিশ্লেষণে আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়েছে, বিলটি অনুমোদিত হলে আগামী এক দশকে সরকারের রাজস্ব আয় সাড়ে চার ট্রিলিয়ন ডলার হ্রাস পেতে পারে। এরই মধ্যে ৩৬.২ ট্রিলিয়ন ডলার ঋণের বোঝা নিয়ে চলছে মার্কিন সরকার।

 

এদিকে আবারও ট্রাম্পের বিলের সমালোচনায় মুখর হয়েছেন মার্কিন ধনকুবের এক্স ও স্পেসএক্সের কর্ণধার ইলন মাস্ক। তিনি বলেছেন, ওই বিল আইনে পরিণত হলে বহু মানুষের চাকরি চলে যাবে। রিপাবলিকান পার্টির ‘রাজনৈতিক আত্মহত্যা’ এই বিল।

 

আরও পড়ুন: ইরানে ফেলা বাংকার বাস্টারের ভিডিও দেখাল পেন্টাগন

 

তবে হোয়াইট হাউস দাবি করেছে, এই বিল কার্যকর হলে বার্ষিক ঘাটতি বরং ১.৪ ট্রিলিয়ন ডলার কমে যাবে।

 

সিনেটে ডেমোক্র্যাট দলীয় নেতা চাক শুমার বলেছেন, সিনেটের রিপাবলিকানরা রাতের আধারে উগ্র এক বিল অনুমোদনে উঠেপড়ে লেগেছে এবং তারা প্রমাদ গুনছে, সাধারণ মার্কিনিরা যেন কিছুই বুঝতে না পারে। তবে ডেমোক্র্যাটরা তাদের দিয়ে পুরো বিলটি (৯৪০ পাতা) পরিষদে আগাগোড়া পড়িয়ে ছাড়বে।

 

পুরোটা পড়া শেষ হলে এর ওপর সর্বোচ্চ বিশ ঘণ্টার পাল্টাপাল্টি বক্তব্য পেশ করবেন আইনপ্রণেতারা। এরপর একাধিক সংশোধনী নিয়ে আলাপ আলোচনার পর চূড়ান্ত ভোট অনুষ্ঠিত হবে। আইনপ্রণেতারা আশা করছেন, সোমবার নাগাদ বিলের কাজ চূড়ান্ত হবে।
 

]]>
সম্পূর্ণ পড়ুন