সিজারের পর জবাই করে গরুর মাংস বিক্রির চেষ্টা, ৪ জনের সাজা-জরিমানা

২ সপ্তাহ আগে
কুড়িগ্রামের উলিপুরে সিজারে বাছুর প্রসবের পর অসুস্থ গাভি জবাই করে মাংস বিক্রির চেষ্টার অভিযোগে চারজনের বিভিন্ন মেয়াদে সাজা ও নগদ অর্থদণ্ড দিয়েছে ভ্রাম্যমাণ আদালত।

মঙ্গলবার (২০ মে) বিকেলে কুড়িগ্রাম জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে তাদের সাজা দেন এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট আবু বক্কর সিদ্দিক।

 

সাজাপ্রাপ্তরা হলেন, পৌরসভার পল্লী চিকিৎসক মো. আজিমনুর রহমান ও মো. জসিম উদ্দিন, সদরের একতাপাড়ার কসাই শাহ আলম ওরফে নাদু, উলিপুরের তবকপুর এলাকার গরুর মালিক সৌরভ কুমার পাল ও সদর উপজেলার মাংসের বহনকারী মোটরসাইকেল চালক নুর ইসলাম।

 

ভ্রাম্যমাণ আদালত জানান, সোমবার বিকেলে উলিপুরের তবকপুর এলাকার সৌরভ কুমার পালের একটি গাভি প্রসব বেদনায় অসুস্থ হয়। খবর পেয়ে দুই পল্লী চিকিৎসক এসে সিজারের মাধ্যমে গাভিটির প্রসব করান।

 

আরও পড়ুন: কচুয়ায় ২ হাসপাতালকে ভ্রাম্যমাণ আদালতের জরিমানা

 

পরে গাভিটি আরও অসুস্থ হয়ে পড়লে মঙ্গলবার সকালে গরুর মালিক পল্লী চিকিৎসকের সহায়তায় কসাই ডেকে জবাই করে মাংস বিক্রি করেন। কসাই বস্তায় মাংস ভরে মোটরসাইকেলে নিয়ে যাওয়ার সময় স্থানীয়রা তাদের আটক করে প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা, পুলিশ ও ম্যাজিস্ট্রেটের হাতে তুলে দেন।

 

জেলা প্রশাসনের এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট আবু বক্কর সিদ্দিক জানান, অপরাধ অনুযায়ী পল্লী চিকিৎসক আজিমনুর রহমানের তিন মাসের কারাদণ্ড ও ২০ হাজার টাকা জরিমানা, আরেক পল্লী চিকিৎসক জসিম উদ্দিনের দুমাসের কারাদণ্ড ও ২০ হাজার টাকা জরিমানা, কসাই শাহ আলমের এক মাসের কারাদণ্ড ও ১০০ টাকা জরিমানা, গরুর মালিক সৌরভ কুমার পালের ৫ হাজার টাকা জরিমানা ও মাংসের বাহক নুর ইসলামকে মুচলেকায় ছেড়ে দেয়া হয়েছে।

]]>
সম্পূর্ণ পড়ুন