আগামী ১১ ও ১২ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিতব্য নির্বাচনে কমনওয়েলথভুক্ত ৫৬টি দেশের প্রতিনিধিরা ভোট দেবেন। তিন বছর মেয়াদের নতুন এই কমিটির নেতৃত্বে মোট ১০টি পদে নির্বাচন হবে। এসব পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ৩৮ প্রার্থী। নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় প্রতিটি দেশ থেকে একজন করে ডেলিগেট ভোট দেবেন।
নাটোর শহরের কানাইখালী এলাকার বাসিন্দা রিফাদ বর্তমানে রাজধানীর প্রেসিডেন্সি ইউনিভার্সিটির কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং (সিএসই) বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী। তার বাবা শেখ মো. রকিবুল ইসলাম নাটোরের সিংড়ার বাহাদুরপুর কারিগরি স্কুল এ্যান্ড কলেজ'র অধ্যক্ষ। বর্তমানে রিফাদ জাতিসংঘ যুব উপদেষ্টা পর্ষদ বাংলাদেশের সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
নাটোরের ছাত্রদল কর্মী শেখ রিফাদ মাহমুদ জানান, তিনি এর আগেও কমনওয়েলথ স্টুডেন্টস অ্যাসোসিয়েশনের অ্যাডুকেশন রিলেশনস অফিসার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।
আরও পড়ুন: ডাকসু নির্বাচনে ভিপি পদে লড়বেন ৪৮ জন
তিনি বলেন, ‘আমি নির্বাচিত হলে, কমনওয়েলথভুক্ত দেশের শিক্ষার্থীরা যাতে গণতান্ত্রিক অংশগ্রহণ ও ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টার মাধ্যমেই শিক্ষার সমান সুযোগ নিশ্চিত করতে পারে সে বিষয়ে গুরুত্বের সঙ্গে কাজ করবো। এই প্রক্রিয়ায় বাংলাদেশকে সামনে থেকে প্রতিনিধিত্ব করাই আমার মূল লক্ষ্য হবে।’
রিফাদের বাবা অধ্যক্ষ শেখ রকিবুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা বিশ্বাস করি, রিফাদ নির্বাচিত হলে কমনওয়েলথভুক্ত শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণ ও শিক্ষার মান উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবেন। শেখ রিফাদ দীর্ঘদিন ধরে শিক্ষার্থীদের এবং যুব সমাজের ক্ষমতায়ন নিয়ে কাজ করে চলেছেন। তার অভিজ্ঞতা ও দৃষ্টিভঙ্গি তাকে এই আন্তর্জাতিক মঞ্চে সাফল্যের সঙ্গে নেতৃত্ব দেয়ার জন্য প্রস্তুত করেছে।’
নাটোর জেলা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক মারুফ ইসলাম সৃজন বলেন, ‘ছাত্রদল কর্মী শেখ রিফাদ মাহমুদ অনেক ভালো কাজের সঙ্গে জড়িত। সে সবসময় ইতিবাচক চিন্তা করে। আন্তর্জাতিক অঙ্গনে শিক্ষার্থীদের জন্য রিফাদের কিছু করতে পারাটা আমাদের ছাত্রদলের জন্য গর্বের।’
আরও পড়ুন: ডাকসুতে শিবিরের প্যানেল ঘোষণা: ভিপি পদে সাদিক, জিএস ফরহাদ
এ বিষয়ে বিএনপি জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও সাবেক সংসদ সদস্য কাজী গোলাম মোর্শেদ বলেন, ‘আন্তর্জাতিক শিক্ষাঙ্গনে বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করা নিঃসন্দেহে গর্বের বিষয়। ছাত্রদল কর্মী শেখ রিফাদ মাহমুদ দেশকে ভালোবাসে। আন্তর্জাতিক শিক্ষাঙ্গনে ছাত্রদল কর্মীর প্রতিনিধিত্ব করা নিঃসন্দেহে ছাত্রদলসহ আমাদের সবার জন্য গর্বের এবং আনন্দের। তার জন্য শুভকামনা।
উল্লেখ্য, কমনওয়েলথ স্টুডেন্টস অ্যাসোসিয়েশন (সিএসএ) ২০১২ সালে মরিশাসে অনুষ্ঠিত কমনওয়েলথ শিক্ষামন্ত্রীদের ১৮তম সম্মেলনে প্রতিষ্ঠিত হয়। শিক্ষার্থীদের অধিকার রক্ষা, উচ্চশিক্ষার সুযোগ বৃদ্ধি, আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের জন্য ভিসা প্রক্রিয়া ও আর্থিক সহায়তা কর্মসূচি সহজতর করা, মানসিক স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তা, লিঙ্গসমতা এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক শিক্ষাব্যবস্থা নিয়ে কাজ করে আসছে সংগঠনটি। বর্তমানে এটি কমনওয়েলথভুক্ত ৫৬টি দেশের ১.৪ বিলিয়ন শিক্ষার্থীর সম্মিলিত কণ্ঠস্বর হিসেবে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে প্রতিনিধিত্ব করছে।