সোমবার (৭ জুলাই) সন্ধ্যায় খুলনা জেলা কারাগার থেকে তারা মুক্তি পান।
২০২০ সালের ৮ জানুয়ারি ‘জঙ্গি সন্দেহে’ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা তাদের তুলে নেয় বলে দাবি করেন তাদের সহপাঠীরা। এরপর টানা ১৭ দিন তারা অজ্ঞাত স্থানে আটক ছিলেন বলে অভিযোগ ওঠে, যেখানে তাদের শারীরিক ও মানসিক নির্যাতনের শিকার হতে হয়।
পরে ২৫ জানুয়ারি পুলিশ তাদের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে মামলা করে এবং খুলনার কৃষক লীগ কার্যালয় ও আড়ংঘাটা থানার গাড়ির গ্যারেজে বোমা হামলার ঘটনায় দায়ের করা মামলায় গ্রেফতার দেখায়। পরে আরও চারটি মামলা দায়ের করে পুলিশ। সব মিলিয়ে ছয়টি মামলায় অভিযুক্ত হন তারা।
আরও পড়ুন: খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে নির্মিত হচ্ছে উন্মুক্ত ব্যায়ামাগার
তাদের আইনজীবী অ্যাডভোকেট আকতার জাহান রুকু জানান, ছয়টি মামলার মধ্যে দুটি মামলায় তারা খালাস পেয়েছেন, দুটি মামলায় আগেই জামিন পেয়েছিলেন এবং বাকি দুটি মামলায় সাজা হলেও উচ্চ আদালতে জামিন চাওয়া হলে হাইকোর্ট সেটি মঞ্জুর করেন।
তিনি আরও জানান, জামিন আদেশ আশুরার ছুটির কারণে কারাগারে পৌঁছাতে দেরি হয়। সোমবার আদেশ পৌঁছানোর পর সন্ধ্যায় তাদের মুক্তি দেয়া হয়।
গ্রেফতারের সময় অনিক মানবসম্পদ ব্যবস্থাপনা বিভাগে এবং রাফি পরিসংখ্যান ডিসিপ্লিনে অধ্যয়নরত ছিলেন। তাদের গ্রেফতারের পর থেকে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের মধ্যে তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়। ক্যাম্পাসে একাধিকবার মানববন্ধন, প্রতিবাদ এবং সংবাদ সম্মেলন আয়োজন করেন সহপাঠী, শিক্ষক ও পরিবার সদস্যরা।
]]>