বৃহস্পতিবার (২৫ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যার পর এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।
জানা গেছে, সন্ধ্যার পর হঠাৎ ওই কারখানায় ধোঁয়া দেখতে পান স্থানীয়রা। পরে ফায়ার সার্ভিসকে খবর দেয়া হয়। খবর পেয়ে প্রথমে কোনাবাড়ি ফায়ার সার্ভিসের তিনটি ইউনিট কাজ শুরু করে। আগুনের ভয়াবহতা বাড়লে পরে ভোগড়া মডার্ন ফায়ার সার্ভিসে ২টি ও সারাবো ফায়ার সার্ভিসের ২টিসহ সাতটি ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে কাজ শুরু করে। আগুন ছড়িয়ে পেছনে থাকা আমবাগ নাদের আলী উচ্চ বিদ্যালয়ের একটি ভবনে ছড়িয়ে পরে। এতে ক্ষতিগ্রস্ত হয় বেশ কয়েকটি ক্লাসরুম।
স্থানীয়রা জানান, কোনোরকম অগ্নি নিরাপত্তা ছাড়াই ঝুটের গুদামগুলো তৈরি করা হয়েছিলো। যার ফলে একটি গুদামে আগুন লাগার সঙ্গে সঙ্গে তা ছড়িয়ে পড়ে পাশের ১০ থেকে ১২টি গোডাউনেও। আগুন পুরোপুরিভাবে নির্বাপণ না করা গেলেও প্রায় সড়ে তিন ঘণ্টার চেষ্টায় চারপাশ থেকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার কথা জানায় ফায়ার সার্ভিস।
আরও পড়ুন: গাজীপুরে ঝুটের গোডাউনে আগুন, নিয়ন্ত্রণে ৬ ইউনিট
এদিকে, জনস্রোত নিয়ন্ত্রণে আনতে ঘটনাস্থলে সেনাবাহিনী ও বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে।
ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে ফায়ার সার্ভিস ঢাকা বিভাগের উপ পরিচালক ছালেহ উদ্দীন বলেন, ‘অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণভাবে এই গুদামগুলো করা হয়েছে তাই তাড়াতাড়ি আগুন ছড়িয়েছে। পানি না থাকায় আগুন নেভাতে বেশ বেগ পেতে হয়েছে। বর্তমানে আগুন নিয়ন্ত্রণে আছে। চারপাশ থেকে আগুন নেভানো হয়েছে যেনো না ছড়ায়। তবে মাঝখানে এখনো আগুন জ্বলছে।’
প্রাথমিকভাবে আগুনের সূত্রপাত ও ক্ষয়ক্ষতি সম্পর্কে জানাতে পারেনি ফায়ার সার্ভিস।