সাহু সেজদা করার নিয়ম

৩ সপ্তাহ আগে
নামাজ শ্রেষ্ঠ ইবাদত। নামাজে ভুল করলে এর ক্ষতিপূরণ হিসেবে সালাম ফেরানোর আগে যে দুটি অতিরিক্ত সেজদা আদায় করতে হয়, তা-ই সাহু সেজদা। ইসলামি শরিয়তের দৃষ্টিকোণ থেকে এ সেজদা ওয়াজিব।

নামাজে ভুল করলে এর ক্ষতিপূরণ হিসেবে সালাম ফেরানোর আগে যে দুটি অতিরিক্ত সেজদা আদায় করতে হয়, তা-ই সাহু সেজদা। শরয়ি দৃষ্টিকোণ থেকে এই সেজদা ওয়াজিব। যেমন—নামাজের কোনো ফরজ ভুলক্রমে নির্ধারিত সময়ের আগে বা পরে আদায় করলে, এক ফরজ ডাবল আদায় করলে, নামাজের কোনো ওয়াজিব ছুটে গেলে বা তা আদায়কালে কোনো পরিবর্তন বা বিলম্ব করলে সাহু সেজদা ওয়াজিব হয়ে যায়।

 

সাহু সেজদার নিয়ম হলো—শেষ বৈঠকে তাশাহুদ পড়া শেষ করে ডান দিকে সালাম ফেরাবে। তারপর তাকবির বলে নামাজের মতো দুটি সেজদা করে বসে যাবে এবং তাশাহুদ, দরুদ, দোয়া মাসুরা পড়ে সালাম ফেরাবে। (মুসনাদে আহমদ: ১৮১৮৮, বুখারি: ১১৫০, ১১৫৩)

 

জানার বিষয় হলো, কারো সাহু সেজদা ওয়াজিব হয়েছে, কিন্তু তা আদায় করতে ভুলে গেছে, এ অবস্থায় তার পুরো নামাজটাই কি বাতিল হয়ে যাবে? 

 

এর উত্তরে ফুকাহায়ে কেরাম বলেন, সাহু সেজদা ওয়াজিব হওয়ার পর কেউ সাহু সেজদা ছাড়াই নামাজ শেষ করলে তার নামাজ বাতিল হয়ে যাবে। তবে সালাম ফেরানোর পর নামাজ পরিপন্থি কোনো কাজ (যেমন কথা বলা, মসজিদ থেকে বের হয়ে যাওয়া ইত্যাদি) না করে থাকলে তখনই সাহু সেজদা আদায় করে নিলে ওই নামাজ হয়ে যাবে। 

 

আরও পড়ুন: হজরত আলী (রা.)-এর বিচক্ষণতা

 

ইবরাহীম নাখায়ি (রহ.) বলেন, 

 

সাহু সেজদা করে নেবে, যতক্ষণ মসজিদ থেকে বের না হয় এবং কথা না বলে। (মুসান্নাফে ইবনে আবি শাইবা, বর্ণনা: ৪৫১৪)

 

কিন্তু বিপরীতে যদি সালাম ফিরিয়ে নামাজ ভঙ্গ হওয়ার মতো কোনো কাজ করে ফেলে, সেক্ষেত্রে সাহু সেজদা আদায়ের আর সুযোগ থাকে না। তখন ওই নামাজ পুনরায় পড়ে  নিতে হবে। (কিতাবুল আছল: ১/২০০; শরহু মুখতাসারিত তহাবি, ইসবিজাবি: ১/৩৫২; খুলাসাতুল ফতোয়া: ১/১৭৯; শরহুল মুনইয়া, পৃ-৪৬৪; আদ্দুররুল মুখতার: ২/৯১)

]]>
সম্পূর্ণ পড়ুন