সালিশে সাক্ষী দিতে রাজি না হওয়ায় ব্যবসায়ীকে কুপিয়ে হত্যা

৩ সপ্তাহ আগে
শ্যালোমেশিন চুরির ঘটনা ধামা চাপা দিতে কার্তিক চন্দ্র নামে এক গরু ব্যবসায়ীকে গভীর রাতে মোবাইলে ডেকে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে প্রতিবেশীদের বিরুদ্ধে। মঙ্গলবার (৯ সেপ্টেম্বর) রাত ১১টায় ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈল উপজেলার নেকমরদ ইউনিয়নের নারায়ানপুর কুয়াভিটা গ্রামে এ ঘটনা।

নিহত কার্তিক চন্দ্র (৫০) উপজেলার ধর্মগড় ইউনিয়নের কুয়াভিটা গ্রামের প্রয়াত খনা রায়ের ছেলে।


পরিবারের স্বজনদের অভিযোগ, চুরির ঘটনা টাকার বিনিময়ে ধামাচাপা দিতে চেয়েছিল চোর ও তার লোকজন। কার্তিল চন্দ্র সালিশ বৈঠকে সাক্ষী দিতে চেয়েছিলেন। এ নিয়ে গ্রামে সপ্তাহজুড়ে আলোচনা চলছিল। গভীর রাতে ডেকে মিথ্যা সাক্ষী দিতে বললে, রাজি না হয় শুরুতে এলোপাতাড়ি মারপিট ও পরে কুপিয়ে হত্যা করা হয় কার্তিক চন্দ্রকে।


মঙ্গলবার দুপুরে কার্তিক চন্দ্রের ছেলে কপিল চন্দ্র বর্মন বাদী হয়ে ১৩ জনের নাম উল্লেখ করে রানীশংকৈল থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। এ ঘটনায় জড়িত ৫ জনকে গ্রেফতার করেছে রানীশংকৈল থানা পুলিশ।


গ্রেফতাররা হলেন- ধর্মগড় ইউনিয়নের কুয়াভিটা গ্রামের প্রয়াত অনন্ত কুমার রায়ের দুই ছেলে তপন চন্দ্র (৪৩), ডালিম চন্দ্র (৩৫), একই গ্রামের নবদেব কুমার বর্মনের ছেলে রতন চন্দ্র বর্মন (২৩), প্রয়াত হেমন্তের ছেলে নবদেব কুমার বর্মন (৪৮) ও একই গ্রামের  হিরা।


আরও পড়ুন: পিরোজপুরে ব্যবসায়ীকে কুপিয়ে হত্যায় ৬ জনের যাবজ্জীবন


কার্তিক রায়ের মেয়ে ললিতা রায় বলেন, বাবাকে মোবাইলে ডেকে নেয় শ্যা্লোমেশিন চুরির সাথে হদা ও তার লোকজন। আজ মঙ্গলবার বসতে চাওয়া সালিশ বৈঠকে জড়িতদের নাম গোপন করে তাকে মিথ্যা সাক্ষী দিতে বলে। এতে রাজি না হওয়ায় বাবাকে কুপিয়ে হত্যা করে। জড়িতদের বিচার দাবি করেন তিনি।


মামলার বাদী কপিল চন্দ্র বর্মন বলেন, বাবা ছিলেন সৎ ও রাগী মানুষ। পরিকল্পিতভাবে আসামীরা আমার বাবাকে হত্যা করেছে। আমি অপরাধীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।


রাণীশংকৈল থানার ওসি আরশেদুল হক বলেন, হত্যাকাণ্ডের এ ঘটনায় আমরা এখন পর্যন্ত পাঁচজনকে গ্রেফতার করেছি। অন্য আসামিদের গ্রেফতারে জন্য আমাদের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

]]>
সম্পূর্ণ পড়ুন