সোমবার (২৮ এপ্রিল) সারজিস আলমের দেয়া চ্যালেঞ্জের জবাবের পাশাপাশি তার বিরুদ্ধে উত্থাপিত সব ধরনের অভিযোগের তদন্তের দাবি জানিয়ে পাল্টা পোস্ট করেন রাশেদ খান।
রোববার (২৭ এপ্রিল) দুর্নীতির সঙ্গে কোনো সম্পর্ক নেই এবং দুর্নীতিগ্রস্ত ব্যক্তিকে কোনো প্রশ্রয় দেন না দাবি করে এসব বিষয়ে অভিযোগ প্রমাণে গণ অধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মো. রাশেদ খানকে ওপেন চ্যালেঞ্জ দিয়েছিলেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম।
এর জবাবে ফেসবুক পোস্টে রাশেদ খান লিখেন, কয়েকদিন আগে সারজিস আলম আমাকে কল করেন। ১ ঘণ্টার বেশি সময় মোবাইলফোনে তার সঙ্গে কথোপকথন হয়। তিনি আমার কাছে আক্ষেপ প্রকাশ করেন। বিস্তারিত আলাপ তুলে ধরতে হলে অনেক লেখা লাগবে। কথোপকথনের সারসংক্ষেপ হলো, আমি তার সম্পর্কে ভুল ধারণা পোষণ করছি। তিনি ভুল ভাঙাতে চেষ্টা করেন ও আমাকে বলেন, আমি যেন তাকে নিয়ে একটা পজিটিভ পোস্ট করি। কিন্তু আমি করিনি, কারণ আমি যেসব বক্তব্য দিয়েছি, তার যথেষ্ট আলামত ও তথ্য উপাত্ত রয়েছে।
তিনি বিভিন্ন গণমাদ্যমের লিঙ্ক শেয়ার দিয়ে দাবি করেন এনসিপি থেকে অব্যাহতি পাওয়া গাজী সালাউদ্দীন তানভীরের সঙ্গে সারজিসের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রয়েছে। সারজিসের প্রভাব খাটিয়ে ডিসি নিয়োগের প্রক্রিয়ায় প্রভাব বিস্তার করে তানভীর। আনসার ক্যু’র দিনও সারজিসের সঙ্গে তানভীর কেন সচিবালয়ে প্রবেশ করে ও একসঙ্গে বের হয়, সে নিয়েও প্রশ্ন তোলেন তিনি।
আরও পড়ুন: রাশেদ খানকে সারজিসের চ্যালেঞ্জ/ অভিযোগ প্রমাণ করতে হবে, নইলে রাজনীতি ছাড়বেন
সারজিস কেন একজন অভিযুক্ত ব্যক্তিকে এনসিপিতে পোস্ট পেতে সহায়তা করেন সে বিষয়েও প্রশ্ন তোলেন রাশেদ।
এছাড়া এনসিটিবির কেলেঙ্কারি নিয়ে রাখাল রাহার বিষয়ে প্রশ্ন তুললেও, কেন গাজী সালাউদ্দীন তানভীরকে এড়িয়ে গেলেন সারজিস? পাশাপাশি তানভীর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে সাদা প্রাডো গাড়ি নিয়ে গেলে, কারা কারা তার গাড়ির অপেক্ষায় থাকতেন সেসব বিষয় নিয়েও প্রশ্ন তোলেন রাশেদ।
পোস্টে রাশেদ অভিযোগ করেন, ‘গণ অধিকার পরিষদের সিনিয়র সহ-সভাপতি ফারুক হাসানের ওপর শহীদ মিনারে যেসব আহতলীগের সদস্যরা হামলা করে, এদের জামিন করাতে সহযোগিতা করে সারজিস আলম ও জুলাই ফাউন্ডেশনের মীর মুগ্ধের ভাই স্নিগ্ধ। গ্রেফতারের ১১ ঘণ্টার মধ্যে জামিন পায় তারা। এই জামিনের নেপথ্যেও ছিলেন সারজিস আলম।’
আরও পড়ুন: এনসিপির যুগ্ম সদস্যসচিব সালাউদ্দিন তানভীরকে অব্যাহতি
রাশেদ আরও দাবি করেন বিভিন্ন সময় গণমাধ্যমে আসা বিভিন্ন নিউজের রেফারেন্সে সারজিসকে নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন তিনি। এসব নিউজ মিথ্যা হলে সারজিস কেন কোনো ব্যবস্থা নেয়নি সে বিষয়েও প্রশ্ন রাখেন রাশেদ খান।
পোস্টে রাশেদ খান লিখেছেন, সারজিসের বিরুদ্ধে আসা অভিযোগ তদন্তের দায়িত্ব তার দল ও সরকারের। এছাড়া কার সহযোগিতায় তানভীর সচিবালয়ে ও এনসিটিবিতে ঢুকলো? এসবের তদন্তে সরকার বা সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় কেন তদন্ত কমিটি গঠন করছে না? তাহলেই তো জানা যাবে, সারজিস আলম দোষী না নির্দোষ?
]]>