চাষাবাদের কাজে প্রয়োজনীয় সার পেতে হিমশিম খাচ্ছেন মেহেরপুরের জেলার চাষিরা। রয়েছে সরকার নির্ধারিত মূল্যের থেকে অধিক দামে সার বিক্রির অভিযোগও। মেহেরপুর সদর উপজেলার ঝাঝা গ্রামের কৃষক আসাদুল হক জানান, ‘নিজের দুই বিঘা জমিতে ধান চাষের জন্য পটাশ কিনতে গিয়ে প্রয়োজনের মাত্র এক তৃতীয়াংশ পেয়েছি। যদিও গোডাউনে সার রয়েছে, কিন্তু তা বেশি দামে কিনতে হচ্ছে।’
অপর কৃষক ওমর ফারুক বলেন, টিএসপি, ডিএপি, এমওপি সহ অন্যান্য সারের বস্তাপ্রতি ২০০ থেকে ৫০০ টাকা পর্যন্ত বেশি দামে কিনতে হচ্ছে। এতে বাড়ছে উৎপাদন খরচ। তবে গোডাউনে পর্যাপ্ত সার থাকা সত্ত্বেও ডিলাররা চাহিদামতো সরবরাহ করছে না।’
আরও পড়ুন: ১৫১৫ কোটি টাকায় এক লাখ ৯৫ হাজার টন সার কিনবে সরকার
সরকারি অনুমোদনপ্রাপ্ত বিসিআইসি ও বিএডিসি সার পরিবেশকদের কাছ থেকেও পর্যাপ্ত সরবরাহ পাচ্ছেন বলে অভিযোগ করেন কৃষকরা। তবে সার ব্যবসায়ীরা বলছেন, চাহিদার তুলনায় বরাদ্দ কম থাকায় সংকট দেখা দিয়েছে। এছাড়া অবৈধভাবে জেলার বাইরে থেকে সার এনে বিক্রির কারণে দাম বেশি বাড়ছে।
বিসিআইসি সার ডিলার সমিতির সভাপতি হাফিজুর রহমান বলেন, ‘জেলার চাহিদার তুলনায় বরাদ্দ কম থাকায় মাঝে মাঝে সংকট দেখা দেয়। কৃষি বিভাগ ও জেলা প্রশাসনকে বরাদ্দ বাড়ানোর তদবির করা হয়েছে, তবে কার্যকর কোনো পদক্ষেপ হয়নি। জেলায় সারের অনুমোদন বাড়াতে পারলে সমস্যার সমাধান হবে।’
তবে মেহেরপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপপরিচালক সামসুল আলম জানিয়েছেন, সারের পর্যাপ্ত মজুত রয়েছে। অন্য জেলা থেকে অবৈধভাবে সার এনে বিক্রি করা বা বেশি দাম নেয়া হলে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে।
কৃষি বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, জেলার ডিএসপি ও এমওপি সারের চাহিদা ধরা হয়েছে ৩১ হাজার ৬৬০ মেট্রিক টন।
]]>