জানা যায়, শেরপুরে পৌর এলাকার দেড়শ’ বছরের পুরাতন প্রথম শ্রেণির পৌরসভার সড়কগুলো এখন চলাচলের অনুপযোগী। এরপরও নিত্যদিনের কাজে সাধারণ নাগরিকদের চলাচল করতে হচ্ছে এমন ভাঙা সড়ক দিয়েই। নিরুপায় নাগরিকদের দুর্ভোগ লাঘবে নেই দৃশ্যমান কোনো উদ্যোগ।
ভাঙাচোড়া সড়কে মাঝে মাঝে লোক দেখানো কিছু সংস্কার করা হলেও দুই সপ্তাহের বেশি টেকেনি সে সব মেরামত করা অংশ। আবারও সড়কের পিচ উঠে গিয়ে আগের চেয়েও ভয়াবহ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। ফলে যে কোনো সময় ঘটছে দুর্ঘটনা, নষ্ট হচ্ছে ছোট-বড় যানবাহনের যন্ত্রাংশ।
আরও পড়ুন: সংস্কারের নামে ‘টাকার খেলা’, ফোরলেন এখন গর্তলেন!
দীর্ঘদিন থেকে সংস্কারের অভাবে যান চলাচলের অযোগ্য এসব সড়ক এখন লক্ষাধিক পৌর নাগরিকের নিত্যদিনের ভোগান্তির অংশ। শুধু তাই নয়, অপরিকল্পিত ড্রেনেজ ব্যবস্থাপনার কারণে সামান্য বৃষ্টিতেই সড়ক তলিয়ে পানি উঠে পড়ছে বাসাবাড়িতেও।
স্থানীয়রা দাবি করে বলেন, ‘২ ঘণ্টার বৃষ্টির পানিতে বাড়ি-ঘরসহ সড়ক থেকে নামতে সময় লাগছে সাত থেকে আট ঘণ্টা। ফলে নাগরিক জীবনে নেমে আসছে স্থবিরতা। ক্ষতি হচ্ছে বাসাবাড়ির আসবাবসহ গৃহস্থালিতে ব্যবহার্য জিনিষপত্র।’
আরও পড়ুন: সামান্য বৃষ্টিপাতেই জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয় সৈয়দপুর শহরে
এ দিকে সড়কে পানি জমে যাওয়ায় চরম দুর্ভোগে পরেন স্কুল-কলেজগামী শিক্ষার্থীসহ শিশু ও নারীরা। খানাখন্দ ভরা সড়কে পানি জমে থাকায় অনেকে শিকার হচ্ছেন দুর্ঘটনার। চলাচলের অযোগ্য সড়কগুলো দ্রুত সংস্কারসহ শহরের পানি নিষ্কাশনে ড্রেনেজ ব্যবস্থাপনাকে আধুনিকায়ন করার দাবি পৌরবাসীর।
শেরপুর পৌরসভার প্রশাসক শাকিল আহমেদ জানান, চলতি বর্ষা মৌসুমে শেরপুর পৌর এলাকার যে সব সড়ক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে সেসব সড়কের তালিক ইতিমধ্যে তৈরি করা হয়েছে। শিগগিরই টেন্ডার প্রক্রিয়ার মাধ্যমে সড়কগুলো মেরামত করা হবে। অপরপক্ষে, জলাবদ্ধতা নিরসনে শহরের আশপাশের সবকটি খালকে পরিষ্কার করা হয়েছে।
প্রায় ২৫ বর্গ কিলোমিটার আয়তনের শেরপুর পৌরসভায় ৯টি ওয়ার্ডের ৪১টি মহল্লার লক্ষাধিক মানুষের চলাচলের জন্য ২২৬ কিলোমিটার সড়কের ১৮০ কিলোমিটার পাকা এবং ৪৬ কিলোমিটার কাঁচা সড়ক রয়েছে।