১ সপ্তাহে আগে
৪
শনিবার (১৮ অক্টোবর) অ্যাবোটাবাদের কাকুলে পাকিস্তান মিলিটারি একাডেমিতে (পিএমএ) এক পাসিং আউট প্যারেডে দেয়া ভাষণে ভারতের সামরিক নেতৃত্বকে সতর্ক করে অসীম মুনির বলেন, পারমাণবিক পরিবেশে যুদ্ধের কোনো স্থান নেই। কোনো দ্বিধা ছাড়াই সামান্য উসকানির ক্ষেত্রেও, পাকিস্তান মাত্রা ছাড়িয়ে সিদ্ধান্তমূলকভাবে জবাব দেবে।’
তিনি বলেন, ‘যদি নতুন করে সংঘাত শুরু হয়, তাহলে পাকিস্তান ধারণার চেয়েও শক্তিশালী প্রতিক্রিয়া দেখাবে। যুদ্ধ এবং যোগাযোগ ক্ষেত্রের দূরত্ব হ্রাসের সঙ্গে সঙ্গে আমাদের প্রাণঘাতী অস্ত্র ব্যবস্থার সীমা ভারতের ভৌগোলিক বিস্তারের ভ্রান্ত নিরাপত্তাকে ধ্বংস করবে।’
আরও পড়ুন: পাকিস্তানের প্রতিটি ইঞ্চি এখন ব্রহ্মোস ক্ষেপণাস্ত্রের নাগালের মধ্যে: রাজনাথ সিং
অসীম মুনির সতর্ক করে বলেন, ‘পরবর্তী উত্তেজনা বৃদ্ধির দায়ভার, যা শেষ পর্যন্ত পুরো অঞ্চল ও তার বাইরেও ধ্বংসাত্মক পরিণতি বয়ে আনতে পারে, তা সম্পূর্ণভাবে ভারতের ওপরই বর্তাবে।
তিনি আরও বলেন, ‘পাকিস্তানের অত্যন্ত প্রতিশোধমূলক আঘাতের ফলে সামরিক এবং অর্থনৈতিক যে ক্ষয়ক্ষতির সৃষ্টি করবে, তার প্রভাব বিশৃঙ্খলা ও অস্থিতিশীলতা সৃষ্টিকারীদের কল্পনা ও হিসাবের বাইরে চলে যাবে।’
আরও পড়ুন: কাতার ও তুরস্কের মধ্যস্থতায় যুদ্ধবিরতিতে সম্মত পাকিস্তান-আফগানিস্তান
ভারতের সঙ্গে সংঘাতে কথা উল্লেখ করে পাকিস্তানের সেনাপ্রধান বলেন, কৌশলগত অন্ধত্ব এবং ভুল পথে পরিচালিত আধিপত্যবাদী উচ্চাকাঙ্ক্ষা থাকা শত্রুর বিরুদ্ধে পাকিস্তান আবারও বিজয়ী হয়েছে।
মে মাসের সামরিক অভিযানের কথা উল্লেখ করে আসিম মুনির বলেন, ‘অপারেশন বুনিয়ান-উন-মারসুস’ পাকিস্তানের সশস্ত্র বাহিনীর সক্ষমতা ও যোগ্যতার প্রতি জনগণের আস্থা আরও দৃঢ় করেছে।
ফিল্ড মার্শাল মুনির আরও বলেন, সশস্ত্র বাহিনী অসাধারণ পেশাদারত্বের সঙ্গে সব হুমকিকে নিষ্ক্রিয় করেছে। যেমন—রাফালের মতো উন্নত যুদ্ধবিমান ভূপাতিত করেছে, এস–৪০০-এর মতো একাধিক ঘাঁটিকে লক্ষ্য করে এবং বহুমাত্রিক যুদ্ধের সক্ষমতা দেখিয়েছে।’
সূত্র: জিও নিউজ
]]>
Bengali (BD) · 
English (US) ·