বৃহস্পতিবার (৮ মে) এ খবর জানায় সংবাদমাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমস।
এতে বলা হয়, অসমর্থিত খবরে জানানো হয়েছে, ‘কমপক্ষে একটি এফ-১৬ সহ পাকিস্তানি বিমান ভূপাতিত হয়েছে এবং কমপক্ষে একজন পাইলট ভারতীয় বাহিনীর হাতে আটক হয়েছেন।’
আরও পড়ুন:ভারতে হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত, নিহত ৫
অসমর্থিত খবরে আরও বলা হয়েছে, ‘পাকিস্তানের হামলার প্রতিশোধ হিসেবে ভারত শিয়ালকোট, লাহোর এবং ইসলামাবাদে সামরিক অবস্থান লক্ষ্য করে ড্রোন ব্যবহার করছে।’
বৃহস্পতিবার সামরিক স্থাপনায় পাকিস্তানের ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলার দাবি করেছে ভারত। আগের রাতে ১৫টি স্থানে পাকিস্তানের আক্রমণ প্রতিহত করা হয়েছে বলেও জানায় নয়াদিল্লি। যা কয়েক দশকের মধ্যে দুই পারমাণবিক শক্তিধর প্রতিবেশীর মধ্যে সবচেয়ে খারাপ সংঘর্ষ এবং পূর্ণাঙ্গ সংঘাতের আশঙ্কা জাগিয়ে তুলেছে।
এর আগের দিন পাকিস্তান এবং পাক অধিকৃত কাশ্মীরে নয়টি লক্ষ্যবস্তুতে ভারতের অপারেশন সিন্দুর চালানোর একদিন পর এটি ঘটল।
প্রতিরক্ষা কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, জম্মু অঞ্চলের সাতোয়ারি, সাম্বা, আরএস পুরা এবং আর্নিয়ায় আটটি পাকিস্তানি ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিহত করা হয়েছে।
জম্মু, পাঠানকোট, উধমপুর এবং জলন্ধরের সামরিক ঘাঁটিতে ড্রোন এবং ক্ষেপণাস্ত্র হামলার দাবি করেছে ভারত। যার সবগুলোই আন্তর্জাতিক সীমান্তের কাছে।
প্রতিরক্ষা মুখপাত্র লেফটেন্যান্ট কর্নেল সুনীল বার্তওয়াল বলেছেন, ‘আজ জম্মু, পাঠানকোট এবং উধমপুরের সামরিক ঘাঁটিগুলোকে পাকিস্তানের ড্রোন এবং ক্ষেপণাস্ত্র লক্ষ্যবস্তু করেছে। প্রতিষ্ঠিত স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং পদ্ধতি অনুসারে গতিশীল এবং অ-গতিশীল ক্ষমতা ব্যবহার করে হুমকিগুলো দ্রুত নিষ্ক্রিয় করা হয়েছে। কোনো হতাহত বা বস্তুগত ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি।’
আরও পড়ুন:ভারত-পাকিস্তান উত্তেজনার মধ্যেই দিল্লি সফরে ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী
পহেলগাম হামলার পর ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে উত্তেজনা শুরু হয়। এরপর একে অপরের বিরুদ্ধে বেশ কয়েকটি পাল্টাপাল্টি পদক্ষেপ ঘোষণার পর বুধবার ভোরে পাকিস্তানে হামলা চালায় ভারত। এরপর পাল্টা হামলা চালায় পাকিস্তান।
]]>