দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বৃহস্পতিবার (২৬ জুন) ঢাকা মহানগর দায়রা জজ মো. জাকির হোসেন গালিবের আদালত এ আদেশ দেন।
এদিন দুদকের সহকারী পরিচালক খোরশেদ আলম পৃথক দুটি আবেদন করেন। এতে বলা হয়েছে, ইমরান আহমেদ নবম থেকে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে সংসদ সদস্য হিসেবে পাবলিক সার্ভেন্ট থাকা অবস্থায় অসাধু উপায়ে নিজ নামে জ্ঞাত আয়ের উৎসের সাথে অসংগতিপূর্ণ ৯০ লাখ ৬৭ হাজার ৪৮৫ হাজার টাকা সম্পদ অর্জন করেন। তিনি নিজ নামে ৫টি ব্যাংক হিসাবে মোট জমার পরিমাণ ৩ কোটি ৬ লাখ ২৩ হাজার ৭২৯ টাকা এবং মোট উত্তোলনের পরিমাণ ২ কোটি ৯৭ লাখ ৮৯ হাজার ৭৫৫ টাকাসহ ৬ কোটি ৪ লাখ ১৩ হাজার ৪৮৪ টাকা সন্দেহজনক লেনদেন করেছে।
এছাড়া খালিদ মাহমুদ চৌধুরী নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় হিসেবে পাবলিক সার্ভেন্ট থাকা অবস্থায় অপরাধমূলক অসদাচরণ ও ক্ষমতার অপব্যবহারের মাধ্যমে অসাধু উপায়ে নিজ নামে জ্ঞাত আয়ের উৎসের সাথে অসঙ্গতিপূর্ণ ৫ কোটি ৭৩ লাখ ৮২ হাজার ৬৮৭ টাকা অর্জন করে। তিনি ১১টি ব্যাংক হিসাব ও ৫টি কার্ড হিসাবের মাধ্যমে মোট ১৩ কোটি ৬৮ লাখ ২৩ হাজার ৫১০ টাকা সন্দেহজনক লেনদেন করেছে।
আরও পড়ুন: সাবেক এমপি বেনজীরের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা
তারা দুর্নীতি ও ঘুষ সংঘটনের মাধ্যমে প্রাপ্ত অর্থ বা সম্পত্তির অবৈধ উৎস গোপন বা আড়াল করার উদ্দেশ্যে রূপান্তর, স্থানান্তর ও হস্তান্তর করে। এ জন্য তাদের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়। বর্তমানে মামলাগুলো তদান্তধীন। তদন্তকালে জানা গেছে, তারা দেশ থেকে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছেন। তাই মামলার সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে তাদের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দেয়া আবশ্যক।
]]>