সাবিনা খাতুনের অধিনায়কত্বে দুই বার সাফ চ্যাম্পিয়ন হয়েছে বাংলাদেশ। তবে সফল এই অধিনায়কের জায়গা হয়নি জর্ডান সফরের জন্য ঘোষিত ২৩ সদস্যের দলে। তা ছাড়া বাংলাদেশ দলের অন্যতম সেরা ডিফেন্ডার মাসুরা পারভিনেরও জায়গা হয়নি এই দলে।
এই দুই সিনিয়র খেলোয়াড়কে দলে না রাখার ব্যাখ্যায় বাটলার বলেছেন, ‘সাবিনার অনেক অর্জন রয়েছে। সেটার প্রতি আমি শ্রদ্ধাশীল। এরপরও বলবো তার (সাবিনার) সময় শেষের দিকে। মাসুরা এখন শেপে নেই। এই বাস্তবতা মানতে হবে।’
আরও পড়ুন: সিটি ছেড়ে নাপোলি যাচ্ছেন ডি ব্রুইনা!
সাবিনা-মাসুরা-সানজিদারা বর্তমানে ভুটানের লিগে খেলছেন। সেই লিগের ফলাফল নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন বাটলার। ‘২৮-০ স্কোরলাইন নিঃসন্দেহে প্রতিদ্বন্দ্বিতা প্রকাশ করে না।’
বাটলার আরও বলেন, ‘অনেক ফ্যাক্টরের উপর নির্ভর করে দল করা হয়েছে। গত ৬ মাসের পারফরম্যান্স, ইনজুরির ইতিহাস, খেলার স্টাইল, শৃঙ্খলা, সোশ্যাল মিডিয়া এক্টিভিটিজ সব কিছুই বিবেচনা করা হয়েছে।’
পিটার বাটলারের বিরুদ্ধে যে বিদ্রোহ করা হয়েছিল, তার নেতৃত্ব দিয়েছিলেন সাবিনা ও মাসুরা। বাফুফের উদ্যোগে সেটা সমঝোতা হয়েছে বটে, তবে অনেকের ধারণা দল নির্বাচনে সেটারই প্রতিশোধ নিয়েছেন এই ব্রিটিশ কোচ।
আরও পড়ুন: মায়ামির হয়ে ক্লাব বিশ্বকাপে খেলবেন নেইমার!
বাটলারকে সরাসরিই জিজ্ঞেস করা হয়েছিল, সাবিনা-মাসুরা ট্যাকনিক্যাল বা ট্যাকটিক্যাল কারণে বাদ নাকি ইগোগত কারণে। ‘তথ্য ও রেফারেন্সের ভিত্তিতেই আমি দল গড়েছি। কৃষ্ণা প্রায় দেড় বছর ধরে খেলেনি। সানজিদাও বেশি ম্যাচ খেলেনি। নীলা ইনজুরিতে, সুমাইয়া জাতীয় দলে তেমন খেলেনি।’
এর আগে সংযুক্ত আরব আমিরাত সফরেও যাননি সিনিয়র ফুটবলাররা। সে সময় আফঈদা খন্দকারকে অধিনায়ক করেছিলেন দলের প্রধান কোচ। তবে এবার জর্ডান সফরের জন্য মারিয়া, ঋতুপর্ণা চাকমা, রুপনা চাকমা, শামুসন্নাহারের মতো সিনিয়র খেলোয়াড়রা দলে আছেন।
এই সফরেও অধিনায়কের আর্ম ব্যান্ড থাকবে আফঈদা খন্দকারের হাতেই। কারণ হিসেবে বাটলার বলেন, ‘শুধু খেলা এবং অভিজ্ঞতা নয়, নেতৃত্বের গুণাবলি ও আরো কিছু বিষয়ের উপর অধিনায়কত্ব হয়। সেই বিবেচনায় আমার কাছে আফঈদা অধিনায়ক। এটা আমার সিদ্ধান্ত।’
]]>