স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ভোলা থেকে ছয়জনের একটি চক্র ট্রলারে করে রাঙ্গাবালীর গহিনখালী এলাকায় এসে সাবমেরিন ক্যাবল কাটার চেষ্টা চালায়। এসময় বিকট শব্দে স্থানীয়দের সন্দেহ হয় এবং দুইজনকে হাতেনাতে ধরে পুলিশে সোপর্দ করা হয়। ঘটনাস্থল থেকে একটি ট্রলার ও কাটার যন্ত্র জব্দ করা হয়।
রাঙ্গাবালী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) এমারত হোসেন বলেন,'আটক দুইজনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে এবং তাদের রিমান্ড চাওয়া হয়েছে। ঘটনার পেছনে আরও কারা জড়িত তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।”
রোবববার (২৯ জুন) ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে বিদ্যুৎ বিভাগের কারিগরি দল। সোমবার সকাল থেকে মেরামতকাজ শুরু হয়েছে।
পটুয়াখালী পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির জেনারেল ম্যানেজার মো. আবুল কাশেম বলেন, ক্যাবলের যন্ত্রাংশ প্রতিস্থাপন ও সংযোগ পরীক্ষা চলছে। সবকিছু ঠিক থাকলে মঙ্গলবার সকাল থেকে বিদ্যুৎ সরবরাহ চালু করা সম্ভব হবে।
আরও পড়ুন: বিল বকেয়া থাকায় ইউপি ভবনের বিদ্যুৎসংযোগ বিচ্ছিন্ন, দুর্ভোগ
বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন অবস্থায় সবচেয়ে বেশি ভোগান্তিতে পড়েছেন ব্যবসায়ী, শিক্ষার্থী ও রোগীরা। ইন্টারনেট ও মোবাইল নেটওয়ার্ক বিচ্ছিন্ন থাকায় ব্যাহত হচ্ছে অনলাইন কার্যক্রম, স্কুল-কলেজের পাঠদান এবং জরুরি স্বাস্থ্যসেবা।
স্থানীয় বাসিন্দারা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, সরকারি তৎপরতা খুবই সীমিত। এই সংকটের দ্রুত বিকল্প সমাধান না হলে ভবিষ্যতে আরও বড় বিপর্যয় ঘটতে পারে।
উল্লেখ্য, রাঙ্গাবালী উপজেলায় বিদ্যুৎ সরবরাহ হয় ভোলা থেকে নদীর তলদেশ দিয়ে টানা বুড়াগৌরাঙ্গ ও তেঁতুলিয়া নদীর সাবমেরিন ক্যাবলের মাধ্যমে।