জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ মোস্তাক আহমেদের নেতৃত্বে সেনাবাহিনী ও পুলিশের যৌথবাহিনী দিনভর অভিযান চালিয়ে অলীপুরে খাস খতিয়ানভুক্ত উক্ত (মোট ৯.৬৮ একর ) জমি উদ্ধার করা হয় এবং সেখানে নির্মিত অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করে প্রশাসন। দীর্ঘদিন ধরে তারা ওই সরকারি খাস জমি অবৈধ ভাবে দখলে রাখেন।
আব্দুস সবুর ও আব্দুর রউফ সাতক্ষীরা সদর উপজেলার আলিপুর ইউনিয়নের আলহাজ আব্দুস সাত্তারের ছেলে।
আরও পড়ুন: কালিয়াকৈরে বন বিভাগের উচ্ছেদ অভিযানে হামলায় আহত ৫, আটক দুজন
সাতক্ষীরার জেলা প্রশাসক মোস্তাক আহমেদ বলেন, ‘আমাদের কাছে থাকা তথ্য মতে, সাতক্ষীরা জেলায় অনেক খাস জমি দীর্ঘদিন ধরে ভূমি দস্যুদের দখলে রয়েছে। যা রোডস্ ও পানি উন্নয়ন বোর্ডের জমি। ইতিমধ্যে এডিসি রেভিনিউকে জেলার খাস জমি কী অবস্থায় রয়েছে, তার তালিকা করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। পাশাপাশি রোডস্ ও পানি উন্নয়ন বোর্ডকে বলা হয়েছে খাস জমি কোনো অবৈধ দখলে আছে কিনা? এরই অংশ হিসেবে সাতক্ষীরার অন্যতম ভূমিদখলকারী ট্রাক মালিক সমিতির সভাপতি আব্দুস সবুর ও তার ভাই সাবেক বাস মিনিবাস মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক সাবেক বিএনপি নেতা আব্দুর রউফের কাছ থেকে প্রায় ৩০ বিঘা জমি উদ্ধার করা হয়। যা রোডস ও পানি উন্নয়ন বোর্ডের জায়গা।
এসব খাসজমিতে অবৈধভাবে ভরাট করে ট্রাক টার্মিনাল ও স্থাপনা করেছিল। যা ভেঙে গুঁড়িয়ে দেয়া হচ্ছে। আর এর পাশেই খাস জমিতে জলমহাল রয়েছে তারই ভাই আব্দুর রউফের। সেখানে দুই একর খাস জমি উদ্ধার সহ দখল মুক্ত করা হয়েছে। এভাবে আস্তে আস্তে সাতক্ষীরা জেলার সব খাসজমি যেগুলো অবৈধভাবে দখলে রয়েছে, সেগুলো সব উদ্ধার করা হবে।
আরও পড়ুন: নোয়াখালীর সোনাপুর জিরো পয়েন্টে ২৫০ অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ
অভিযান শুরু হয়েছে, এ অভিযানে সঙ্গে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী ও পুলিশ সদস্যরা রয়েছেন। তিনি এসময় সবার সহযোগিতা চেয়ে বলেন, সাতক্ষীরার এক খণ্ড সরকারি জমি যাতে কোনো ভূমি দস্যু ও জবরদখলকারীর হাতে না থাকে। সে লক্ষে জেলা প্রশাসন কাজ করে যাবে।
সরকারি খাস জমি উদ্ধার ও উচ্ছেদ অভিযানে এসময় তার সঙ্গে আরও উপস্থিত ছিলেন, সাতক্ষীরা সেনা ক্যাম্পের কমান্ডার লে. কর্নেল নাবিদ, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) শেখ মঈনুল ইসলাম মঈন, সদর উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) অতিশ কুমার সরকার, আরডিসি পলাশ আহমেদ, সড়ক ও জনপদসহ পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তারা।