নিহত রূপবান বেগম ওই গ্রামের জহুর আলী মোল্লার স্ত্রী। তিনি পার্শ্ববর্তী 'সুন্দরবন প্রজেক্ট' নামের একটি মুরগির খামারে ঘাস কাটতে গিয়ে দুর্ঘটনার শিকার হন।
নিহতের ছেলে আব্দুর সবুর জানান, তার মা সকালে ছাগলের জন্য পার্শ্ববর্তী 'সুন্দরবন প্রজেক্ট' নামের একটি মুরগির খামারে ঘাস কাটতে গিয়েছিলেন। খামারের ম্যানেজার মাকসুদ আগের দিন নিজেই ঘাস কেটে নেয়ার পরামর্শ দিয়েছিলেন। কিন্তু দুপুর গড়িয়ে গেলেও তার মা ফিরে না আসায় খোঁজাখুঁজি শুরু হয়। পরে স্থানীয়রা খামারের ভেতর বিদ্যুৎস্পৃষ্ট অবস্থায় তার মৃতদেহ পড়ে থাকতে দেখেন।
ঘটনার খবর পেয়ে শ্যামনগর থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, খামারটির চারপাশে রাতে শিয়াল ঠেকাতে জিআই তার দিয়ে বৈদ্যুতিক সংযোগ দেওয়া হয়। তবে ম্যানেজার মাকসুদ আলম সকালে তা বিচ্ছিন্ন করেননি বলে ধারণা করা হচ্ছে।
দুর্ঘটনার পর থেকে খামারের ম্যানেজার মাকসুদ আলমসহ সংশ্লিষ্ট কর্মচারীরা গা-ঢাকা দিয়েছেন। ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করলেও তাদের কাউকেই পাওয়া যায়নি।
আরও পড়ুন: গোরস্থানে নেয়ার পথে গৃহবধূর মরদেহ আটকে দিল পুলিশ!
খামার মালিক নূর ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, 'খবর পেয়েই আমি রওনা হয়েছি। শিয়ালের উপদ্রব ঠেকাতে রাতে বৈদ্যুতিক তার সংযোগ দেওয়া হয়। সকালে ভুলবশত সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়নি, এজন্যই এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনাটি ঘটেছে।'
শ্যামনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। বিষয়টি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।