দক্ষিণ পশ্চিমাঞ্চলের শেষ জেলা সাতক্ষীরা বিখ্যাত জিআই পণ্য হিসেবে উৎপাদিত হিমসাগর আম, রফতানিযোগ্য হিমায়িত চিংড়ি ও সুন্দরবনের মধু।
এ জেলায় প্রথম ধাপে নাভারন থেকে সাতক্ষীরার ভোমরা স্থলবন্দর পর্যন্ত রেললাইন স্থাপন করা হবে। এ পর্যায়ে পাঁচটি স্টেশন থাকছে, নাভারন, কলারোয়া, মাধবকাঠি, সাতক্ষীরা ও ভোমরা স্থলবন্দর। অবশেষে রেল লাইনের কাজ এগিয়ে যাওয়ায় স্থানীয় জনগণ ও ব্যবসায়িরাসহ সংশ্লিষ্টরা এই উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন। তাদের দাবি প্রকল্পটি দ্রুত বাস্তবায়নের।
এতে করে ভোমরা বন্দরের আমদানি পণ্য পরিবহনে খরচ কমে আসবে। কমে আসবে জেলার বাইরে থেকে নিয়ে আসা নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দাম।
আরও পড়ুন: সাতক্ষীরায় মাছের ঘেরেই সবজি চাষ, দ্বিগুণ আয়ে কৃষকের মুখে হাসি
সাতক্ষীরা বড়বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রহিম বাবু জানালেন, রেল যোগাযোগ বাস্তবায়ন হলে পরিবহন খরচ অনেকাংশ কমে যাবে। সেকারনেই বাজারেও নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসের দাম কমবে।
সাতক্ষীরা চিংড়ি চাষি সমিতির সাধারণ সম্পাদক ডা. আবুল কালাম বাবলা জানান, জিআই পণ্য সাতক্ষীরার হিমাইত চিংড়ির মত উৎপাদিত হিমসাগর আম ও সুন্দরবনের মধুর বাজারজাতকরনের চাহিদা বেড়ে যাবে।
জেলা নাগরিক উন্নয়ন কমিটির আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট আজাদ হোসেন বেলাল জানান, নাভারন থেকে সাতক্ষীরা ভোমরা বন্দর পর্যন্ত রেল লাইন স্থাপন হতে যাচ্ছে এতে অনেক খুশি। তবে সাতক্ষীরার ব্রান্ডি‘সড়ক পথে সুন্দরবন, সাতক্ষীরার আকর্ষন’ বাস্তবায়নে রেল লাইন নাভারন ধেথে মৃন্সিগঞ্জ কনরত হবে।
সাতক্ষীরার ভোমরা সিএন্ডএফ এজেন্ট এসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক আবু মুছা জানান, রেললাইন হলে ভারত থেকে আমদানি করা মালামালের পরিবহন খরচ কমে যাবে। আমদানিকারকদের তখন এ বন্দর ব্যবহারে আগ্রহ বেড়ে যাবে। বৃদ্ধি পাবে ভোমরা বন্দর থেকে রাজস্ব আদায়।
আরও পড়ুন: ছয় মাসে বিঘাপ্রতি লাভ ৭০ হাজার টাকা, পানিফল চাষে ঝুঁকছেন সাতক্ষীরার চাষিরা
সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক মোস্তাক আহমেদ বলেন, রেল মন্ত্রণালয় থেকে প্রথম অবস্থায় যশোরের নাভারন থেকে সাতক্ষীরার ভোমরা পর্যন্ত রেল লাইন স্থাপনের নীতিগত সীদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। ২ হাজার ৬৫০ কোটি টাকা বরাদ্দ নির্ধারন করা হয়েছে। রেল যোগাযোগ যেমন আরামদায়ক, তেমনি পরিবহনে খরচ কম বিধায় সাতক্ষীরাবাসি উপকৃত হবে।
]]>
৪ সপ্তাহ আগে
৫








Bengali (BD) ·
English (US) ·