সাতক্ষীরায় প্রস্তুত কোরবানির পশু, গো-খাদ্যের বাড়তি দামে লাভ নিয়ে শঙ্কা

১ দিন আগে
ঈদুল আজহা সামনে রেখে গবাদিপশুর পরিচর্যায় ব্যস্ত সাতক্ষীরার খামারিরা। তবে গো-খাদ্যের দাম বাড়ায় ন্যায্যমূল্য পাওয়া নিয়ে চিন্তিত তারা। প্রাণিসম্পদ বিভাগ বলছে, কোরবানির হাটের সব ধরনের প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে। কাজ করবে ১৫টি মেডিকেল টিম।

ঘনিয়ে আসছে কোরবানির ঈদ। শেষ মুহূর্তে তাই গবাদিপশুর বাড়তি পরিচর্যায় ব্যস্ত সাতক্ষীরার খামারিরা। জেলায় ১২ হাজার ৮৯৪টি ছোট বড় খামারে প্রস্তুত করা হয়েছে এক লাখ ৬০৬টির মত কোরবানির পশু।

 

গত কয়েক বছর ভারত সীমান্ত দিয়ে অবৈধ পথে গরু আসা বন্ধ থাকায় দেশি ও শংকর জাতের পশুপালনে আগ্রহ বেড়েছে সাতক্ষীরার অধিকাংশ খামারিদের। তাই কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে সাতক্ষীরার সাত উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় গড়ে উঠেছে ছোট বড় কোরবানির গরু খামার। পশুকে খাওয়ানো হচ্ছে প্রাকৃতিক খাবার।

 

তবে নিত্যপণ্যের আর গো-খাদ্যের দাম বাড়ায় গত বছরের তুলনায় চলতি বছর পশুপালন ব্যয় অনেকটাই বেড়েছে বলে জানান খামারিরা। তারা বলেন, গো-খাদ্যের দাম অনেক বেড়েছে। এতে গরু লালন পালনেও খরচ বেড়েছে। হাটে ভালো দাম পেলে লাভবান হতে পারব।

 

আরও পড়ুন: শেষ সময়ে পশুর যত্নে বাড়তি মনোযোগ, চোরাচালান বন্ধে কড়া নজরদারির দাবি

 

এদিকে উৎপাদন খরচ বাড়ায় বেশি দামে গরু কিনে বিক্রি নিয়েও চিন্তিত ব্যাপারীরা। তারা বলছেন, গো-খাদ্যের দাম সত্যিই বেড়েছে। এতে গরুর দামও বাড়বে। তবে বেশি দামে গরু কিনলেই যে বেশি দামে বিক্রি করা যাবে এমন নয়।

 

প্রাণিসম্পদ অধিদফতর বলছে, চাহিদা অনুযায়ী উৎপাদন বেশি হওয়ায় জেলার চাহিদা মিটিয়ে চলতি বছরও জেলার বাইরে কোরবানির পশু সরবরাহ করা সম্ভব হবে। জেলার ভারপ্রাপ্ত প্রাণিসম্পদ অফিসার ডা. বিষ্ণপদ বিশ্বাস জানান, চলতি বছর সাতক্ষীরা জেলায় চাহিদার তুলনায় পর্যাপ্ত কোরবানির পশু মজুত রয়েছে। জেলার প্রয়োজন মিটিয়ে উদ্বৃত্ত থাকবে। এসব হাট থেকে কেনাবেচা করা যাবে যে কোনো পশু। এ ছাড়াও রয়েছে অনলাইনে বিক্রির ব্যবস্থা।

 

এছাড়া ১৫টি মেডিকেল টিম মাঠে কাজ করবে জানিয়ে তিনি আরও বলেন, অসুস্থ পশু কেউ হাটে বিক্রি করতে পারবে না। বাজার মনিটরিং করতে জেলা প্রশাসনের রয়েছে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসকের নেতৃত্বে ৯ সদস্যের একটি টিম। বাজারগুলোতে রয়েছে ব্যাংকিং ব্যবস্থা, যাতে ক্রেতা ও বিক্রেতা প্রতারণার শিকার না হন।

 

জেলা প্রাণিসম্পদ অফিসের দেয়া তথ্য মতে, চলতি বছর সাতক্ষীরা জেলায় কোবানির পশুর চাহিদা রয়েছে ৮৫ হাজার ৩১৮টি। ১২ হাজার ৮৯৪টি খামারে বিক্রির জন্য কোরবানির পশু প্রস্তুত রয়েছে এক লাখ ৬০৬ টি পশু। চাহিদার তুলনায় উদ্বৃত্ত থাকবে ১৫ হাজার ২৮৮টির মত পশু।

]]>
সম্পূর্ণ পড়ুন