ক্যারোলিন লিভিটের উদ্ধৃতি দিয়ে বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, ইসরাইল স্বাক্ষর করার পর মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং বিশেষ দূত স্টিভ উইটকফ হামাসের কাছে প্রস্তাবটি জমা দেন।
তিনি বলেন, ‘আমি নিশ্চিত করতে পারি যে আলোচনা অব্যাহত রয়েছে এবং আমরা আশা করি, গাজায় একটি যুদ্ধবিরতি হবে যাতে আমরা সব জিম্মিদের ফিরিয়ে আনতে পারি।’
তবে হামাসের একজন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসিকে জানিয়েছেন, তারা গাজায় নতুন যুদ্ধবিরতি এবং জিম্মি মুক্তি চুক্তির জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সবশেষ প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করবে।
আরও পড়ুন: ইসরাইলের হামলা: গাজায় প্রাণ গেল আরও ৭০ জনের
হামাসের ওই কর্মকর্তা বলেন, প্রস্তাবটি যুদ্ধ বন্ধসহ মূল দাবিগুলো পূরণ করেনি এবং যথাসময়ে তারা এ বিষয়ে সাড়া দেবেন।
প্রতিবেদন মতে, ইসরাইলি সরকার এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেনি। তবে ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বৃহস্পতিবার জিম্মিদের পরিবারকে বলেছেন যে তিনি উইটকফের পরিকল্পনা মেনে নিয়েছেন।
যুক্তরাষ্ট্র, কাতার ও মিশরের মধ্যস্থতায় দুই মাসের যুদ্ধবিরতি ভেঙে যাওয়ার পর গত ১৮ মার্চ ইসরাইল গাজার ওপর ‘সম্পূর্ণ অবরোধ’ আরোপ করে এবং হামাসের বিরুদ্ধে পুনরায় সামরিক আক্রমণ শুরু করে।
আরও পড়ুন: পশ্চিম তীরে ফিলিস্তিনিদের ভূমি দখল /কয়েক দশকের মধ্যে সবচেয়ে বড় বসতি সম্প্রসারণের ঘোষণা ইসরাইলের
তেল আবিব বলছে, তারা হামাসের ওপর চাপ সৃষ্টি করতে চেয়েছিল যাতে তারা তাদের হাতে থাকা ৫৮ জন জিম্মিকে মুক্তি দেয়, যাদের মধ্যে কমপক্ষে ২০ জন জীবিত বলে ধারণা করা হচ্ছে।
সূত্র: রয়টার্স, বিবিসি
]]>