৩ সপ্তাহ আগে
৮
গুলিবিদ্ধ পাঁচজন হলেন: উপজেলার রামজীবনপুর গ্রামের আব্দুল মালেক গাজী (৫০), আরিফুল ইসলাম (১৫), আমিনুল ইসলাম (২৮), কেয়াতলা গ্রামের আবু সাঈদ (১৫) ও আব্দুল্লাহ আল মামুন (৩৫)।
এ দিকে এ ঘটনায় চারজনকে আটক করেছে পুলিশ। তারা হলেন: শ্যামনগর উপজেলার কেয়াতলা গ্রামের আশরাফুল ইসলাম (২৫), আমানুল্লাহ ইমন (২৩), দেবহাটার সখিপুর এলাকার মারুফ হোসেন (২২) ও আব্দুল্লাহ আল মামুন (২০)।
আরও পড়ুন: রাউজানে বিএনপির দুপক্ষের সংঘর্ষে গুলি-গাড়ি ভাঙচুর, আহত ২০
নাম প্রকাশ না করার শর্তে রামজীবনপুর গ্রামের একজন জানান, বিকেলে রামজীবনপুর গ্রামের আব্দুল গফুর সরদারের ছেলে শাহাজান ও তার পরিবারের সদস্যরা দীর্ঘদিন ধরে কেয়াতলার একটি বিরোধপূর্ণ সম্পত্তিতে প্রভাব খাটিয়ে জবর দখলে রেখেছিলেন। তবে পাঁচ আগস্টের পর উচ্চ আদালতের রায় অনুকূলে থাকার দাবি করে একই এলাকার সোহেল রেজা ফরেজসহ তার পরিবারের সদস্যরা ওই জমি দখল করে নেন। একপর্যায়ে শনিবার একটি বাস ও একটি সিএনজিচালিত অটোতে করে বহিরাগত সন্ত্রাসীদের নিয়ে শাহাজান ওই জমি দখল করতে যান। এ সময় দুপক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়। একপর্যায়ে শাহাজানের সঙ্গে থাকা কয়েকজন গুলি ছুড়লে প্রতিপক্ষের পাঁচজন গুলিবিদ্ধ হন।
সোহেল রেজা ফয়েজের ভাগনে আরিফুল ইসলাম জানান, কাগজপত্র তাদের অনুকূলে। কিন্তু বিগত সরকারের সময়ে আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত শাহাজান ও তার লোকজন তাদের জমি দখল করে রাখেন। পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে নিজেদের জমি দখলে নেয়ার পর শনিবার শাহাজান বাসে অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী বাহিনী নিয়ে জমি দখলের চেষ্টা করেন।
আরও পড়ুন: শৈলকূপায় জমি নিয়ে বিরোধের জেরে দুপক্ষের সংঘর্ষে আহত ১৫
পুলিশের হাতে আটক আশরাফুল ইসলাম জানান, তাদের জমি জোরপূর্বক ফয়েজ ও তার লোকজন দখল করে রেখেছিলেন। শনিবার গোত্রের লোকজন নিয়ে তারা জমি উদ্ধারে গেলে তাদের ওপর হামলা করা হয়। তবে কে বা কারা গুলি করেছে, সে বিষয়ে তিনি জানেন না বলে দাবি করেন।
এ বিষয়ে শ্যামনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. হুমায়ুন কবির জানান, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে চারজনকে আটক করেছে। এখন পর্যন্ত লিখিত অভিযোগ পাওয়া যায়নি। অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।
Bengali (BD) · 
English (US) ·