মঙ্গলবার (২৭ মে) ভোর সাড়ে পাঁচ টার দিকে তাদের পুশইন করে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে ঠেলে দেয়। পরে স্থানীয় বিজিবি জওয়ানরা তাদের কুশখালী বিজিবি হেফাজতে নেয়। পরে সাতক্ষীরা ৩৩ ব্যাটালিয়ন হেডকোয়ার্টারে পাঠিয়ে দেয়া হয়। তাদের বাংলাদেশি সনাক্ত করে বিকেলে তাদের সাতক্ষীরা সদর থানায় হস্তান্তর করে।
এঘটনার প্রতিবাদ জানিয়ে সাতক্ষীরা ৩৩ বিজিবি ব্যাটালিয়নের আওতাধীন কুশখালি বিওপির একটি প্রতিনিধি দল ভারতীয় বিএসএফ দুবলে ক্যাম্পে বিষয়টি নিয়ে প্রতিবাদ লিপিসহ পতাকা বৈঠকের আহ্বান জানানো হয় বিজিবির পক্ষ থেকে। একইসঙ্গে ভারতের কলকাতা ১০২ বিএসএফ ব্যাটালিয়নের সঙ্গে সাতক্ষীরা ৩৩ ব্যাটালিয়ন বিজিবির ব্যাটালিয়ন পর্যায়ে পতাকা বৈঠকের প্রক্রিয়া চলছে বলে বিজিবির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: মুজিবনগর সীমান্ত দিয়ে ১৫ শিশুসহ ৩০ জনকে পুশইন
পুশইন করা আটকরা জানান, তারা ১০/১২ বছর ধরে ভারতের হরিয়ানায় বিভিন্ন ইটভাটায় কাজ করতো। ভারতীয় পুলিশ আধাপেটা খেতে দিলেও সীমান্ত থেকে লাঠিপেটা করে তাদের বাংলাদেশে ঠেলে দেয়।
সাতক্ষীরা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. শামিনুল হক জানান, ভারত থেকে পুশব্যাককৃত ২৩ জন বাংলাদেশি নাগরিককে বিজিবি বিকেলে সদর থানা হস্তান্তর করেছে। এর মধ্যে ২২ জন কুড়িগ্রামের এবং ১ জন ঝালকাঠির বাসিন্দা। এদের মধ্যে ৭ জন পুরুষ, ৭ জন নারী ও ১৪ জন শিশুর মধ্যে ৮ ছেলে শিশু, ৫ জন মেয়ে শিশু রয়েছে। যাচাই-বাছাই পূর্বক পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এর আগে গত ৯ মে ভারতীয় কোস্টগার্ড ও বিএসএফ যৌথভাবে ৭৮ জন বাংলাভাষি পুরুষকে সুন্দরবনের জঙ্গলে ফেলে রেখে যায়। পরে বাংলাদেশি বনবিভাগ ও কোস্টগার্ড তাদের উদ্ধার করে তাদের স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করে।