সাগরে লঘুচাপ, জোয়ারের পানিতে ভাসছে রাঙ্গাবালি

২ দিন আগে
উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট লঘুচাপের প্রভাবে পটুয়াখালীতে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাত অব্যাহত রয়েছে। বৃহস্পতিবার (২৯ মে) সকাল থেকে আকাশ মেঘাচ্ছন্ন এবং সাগর উত্তাল হয়ে উঠেছে। নদ-নদীর পানি কিছুটা স্বাভাবিক থাকলেও জোয়ারের পানি বৃদ্ধি পেয়েছে।

অস্বাভাবিক জোয়ারের ফলে রাঙ্গাবালী উপজেলার চরমোন্তাজ ইউনিয়নের চরআন্ডা, নয়ার চর, উত্তর চর মোন্তাজ এবং চালিতাবুনিয়া ইউনিয়নের বিবির হাওলা, গোলবুনিয়া, চরলতা, মধ্য চালিতাবুনিয়া ও মরাজাঙ্গী সহ দুই ইউনিয়নের সাতটি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় কয়েক দফা জোয়ারের পানিতে গ্রামের রাস্তাঘাট, বসতঘর, খাল-বিল ও মাছের ঘের ডুবে গেছে। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে শতাধিক পরিবার ও তাদের জীবিকা।

 

স্থানীয়রা জানান, বৃহস্পতিবার সকালে হঠাৎ করে সমুদ্র থেকে উঁচু ঢেউ উঠে আসে। ভাটার টান না থাকায় পানির স্তর দ্রুত বাড়তে থাকে। কোথাও কোথাও পানি প্রবেশ করে দেড় থেকে দুই ফুট পর্যন্ত। বাড়িঘর, রান্নাঘর, টিউবওয়েল এমনকি স্কুলঘরেও পানি উঠেছে।

 

আরও পড়ুন: বঙ্গোপসাগরে লঘুচাপ, উপকূলজুড়ে বৃষ্টি

 

চরআন্ডা গ্রামের বাসিন্দা মুহাম্মদ প্রিন্স বলেন, ‘প্রায় একযুগ ধরে এখানকার বেড়িবাঁধ পুরোপুরি ধ্বংস হয়ে আছে। একটু বৃষ্টি বা জোয়ার হলেই পানি ঢুকে পড়ে। গত রাতের জোয়ারে ঘরের খাট পর্যন্ত পানিতে ভেসে যায়। গবাদি পশু রাখার জায়গাও ছিল না। শিশু আর বৃদ্ধদের নিয়ে এ এলাকার মানুষ খুব কষ্টে আছে।’

 

চালিতাবুনিয়ার বাসিন্দা গৃহবধূ রেহেনা বেগম বলেন, ঘরে পানি উঠেছে, রান্না করতেও পারি না। মাছের পুকুরও একেবারে পানির নিচে। বাচ্চাদের স্কুলও বন্ধ হয়ে গেছে।

 

আরও পড়ুন: গভীর নিম্নচাপ উপকূল অতিক্রম করছে, ৪ ফুটের বেশি জলোচ্ছ্বাসের শঙ্কা

 

রাঙ্গাবালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. ইকবাল হাসান বলেন, আমরা বিভিন্ন ইউনিয়ন পরিষদের মাধ্যমে ক্ষয়ক্ষতির তথ্য সংগ্রহ করছি। ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোকে প্রয়োজনীয় সহায়তা দেয়া হবে।
 

]]>
সম্পূর্ণ পড়ুন